খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি পরিবারের বাড়িতে ঢুকে দলবেঁধে ধর্ষণ-ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, খাগড়াছড়ির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মোরশেদুল আলম, বিচারিক হাকিম মো. সামিউল আলম ও সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী রিয়াদের আদালতে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় তারা এই জবানবন্দি দেয়। বিডিনিউজ
প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যরাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বলপাইয়া আদাম গ্রামে এক পাহাড়ি পরিবারের বাড়িতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৬) দলবেঁধে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তরুণীর মা সদর থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন ও ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাত নয়জনকে আসামি করে দু’টি মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলো মো. আমিন (৪০), বেলাল হোসেন (২৩), ইকবাল হোসেন (২১), আব্দুল হালিম (২৮), শাহিন মিয়া (১৯), অন্তর (২০) ও আব্দুর রশিদ (৩৭)।
তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ির রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙা ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায়।
ওসি রশিদ বলেন, “গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে ছয়জন জবানবন্দি দিলেও ডাকাতি ও ধর্ষণের হোঁতা নূরুল আমিন জবানবন্দি দেয়নি।”
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত ৩০ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ঠিক করে বলে জানান তিনি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নিয়ে রবিবার সকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ।
পুলিশ সুপার বলেন, “ব্যাপক অভিযান চালিয়ে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকাসহ চট্টগ্রাম থেকে এই সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে সোনা বিক্রির টাকা, লুট করা টাকা, মোবাইল ফোনসেট ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নয়জন পেশাদার ডাকাত অংশ নেয়। ডাকাতি ও একই সঙ্গে ধর্ষণই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।”