সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলার আসামী রনি ও রবিউল আটক

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১১:০৪ অপরাহ্ণ

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫) র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে আজ রবিবার রাত সাড়ে নয়টায় সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করেছে মামলার ৫ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি রবিউলকে।
হবিগঞ্জ জেলা শহরের অনন্তপুর এলাকা থেকে আজ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত আটটায় র‌্যাবের একটি দল রনিকে আটক করে। বাংলানিউজ
র‌্যাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা না হলেও বিষয়টি জানিয়েছেন রনির আত্মীয়রা।
ধর্ষণে অভিযুক্ত রনির আপন মামা ও চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী জানান, আনন্তপুর এলাকার একজন অ্যাডভোকেটের বাসায় রনি র‌্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করেছে।
জানা গেছে, রনি এমসি কলেজে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের অনিয়মিত ছাত্র। থাকত ছাত্রাবাসের ৭ নম্বর ব্লকের ২৫০ নম্বর কক্ষে। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে তার দাপট ছিল নিজ এলাকা হবিগঞ্জে। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এলাকায় কোনো সভা-সমাবেশ হলেই উপস্থিত থাকত। পারিবারিকভাবে তার বাবা-চাচাদের সঙ্গে আশেপাশের কারো ঝগড়া বিবাদ লাগলে সে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করত।
এর আগে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে এইচএসসি পাশ করে শাবিপ্রবিতে অনার্স শেষে এমসি কলেজে স্নাতকোত্তর করছে রনি। তার পিতা ও অন্য দুই ভাই সহজ সরল প্রকৃতির হলেও সে এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত।
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার ৫ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে হবিগঞ্জ থেকে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ রবিবার রাত সাড়ে নয়টায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিউল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নগদী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “রবিউল ধর্ষণ মামলার ৫ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি। তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।”
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ সুরমার এক নবদম্পতি গত শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেট কারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান।
বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করে।
পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকে।
তারা টিলাগড় কেন্দ্রিক আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার গ্রুপের অনুসারী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীতকে টার্গেট করে সাগরপথে ফের মানবপাচারের প্রস্তুতি!
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ধর্ষণ-ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে ৬ জন