ক্ষমা

কাসেম আলী রানা | বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

যার চোখ সুন্দর, সে তুমি নও, অন্য কেউ ;

অন্য এক নিষ্ঠুর রমনী!

তার চোখের কিরিচে আমার বুকের বাম পাশ

কুচি কুচি করে কেটে ফেলেআনাড়ি আয়োজনে।

তবুও আমি বেহায়ার মতো তার চোখে চোখ রাখি;

শুকনো কাঠের মতো পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হই!

নিষ্ঠুর সুন্দরী; বুকটা কেটে কুটে চড়ুইভাতি খেলে!

চড়ুইভাতি খেলা শেষে, আগোছালো ভাবে

রেখে যায়, সব এঁটোগেঁটো!

কাটাছেঁড়া ছিন্নভিন্ন টুকরোগুলো

খুঁজে খুঁজে আমি জোড়া লাগাই ;

দুঃখ কষ্ট আর হাহাকারময়

জলন্ত আগুনের পোড়া জীবন যাপন দিয়ে!

সে জানে না, আমি কী যে নিদারুন ভাবেতার বিহনে

কষ্টের হাল চাষ করি অনন্ত জীবনের ভাটির মোহনায়!

তার চোখের কিরিচে খুন হতে এতো যে ভালো লাগে,

তা কি সে জানে?

এই খুনের কোনো মামলা নেই, শাস্তি নেই,

এজলাস নেই, গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই!

আজীবনের জন্য তাকে এই আমি ক্ষমা করে দিয়েছি!

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকটি অসমাপ্ত মহাকাব্য
পরবর্তী নিবন্ধভালোবেসে