চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রামের স্টিল মিলগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। তবে ভারী যানবাহনগুলো সিটি কর্পোরেশনের সড়ক ব্যবহার করছে। এতে করে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বাড়তি চাপ বহন করতে হচ্ছে বলে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারের জন্য স্টিল মিল মালিকদের একটি সার্ভিস চার্জ চসিককে দেওয়া উচিত। কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ কোনো পাওনা থাকলে তা দ্রুত পরিশোধ করার জন্য স্টিল মিল মালিকদের অনুরোধ জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টাইগারপাসে চসিক প্রশাসকের দপ্তরে স্টিল মিল মালিকদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে প্রশাসক এসব কথা বলেন। এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোজাম্মেলক হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহিদা ফাতেমা, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএসআরএমর পরিচালক তপন সেনগুপ্ত, কেএসআরএম’র পরিচালক সৈয়দ নজরুল আলম, আবুল খায়ের গ্রুপের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহিদুল্লাহ চৌধুরী, জিপিএইচ ইস্পাতের মিডিয়া অ্যাডভাইজার অভিক ওসমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে যে কন্টেনার ইয়ার্ডগুলো স্থাপন করা হয়েছে, তা মোটেই পরিকল্পিত নয়। কথা ছিল বন্দরের ২০ কিলোমিটার পরেই কন্টেনার ইয়ার্ডগুলো থাকবে। অথচ এই আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন্দরের প্রবেশ মুখে যত্রতত্রভাবে ইয়ার্ডগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামে যানজট হচ্ছে এবং বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, পোর্ট কানেক্টিং রোডের স্টিল মিলগুলোর যেসব লরি পিসি রোড দখল করে রাখে, তা দুয়েকদিনের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।