ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

জোনাকী দত্ত | বৃহস্পতিবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

মানুষের ষড়রিপুর মধ্যে ক্রোধ অন্যতম। তীব্র অসস্তোষের বহিঃপ্রকাশকে ক্রোধ বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন,‘যে মনের বেদনাকে স্পষ্ট রূপে প্রকাশ করতে পারে না, তাহারই ক্রোধ অধিক আসে’। ক্রোধ এমন একটা জিনিস যে মানুষের বাস্তবিক অস্তিত্বকে ধ্বংস করে দেয়।
পীথাগোরোসের মতে,‘ক্রোধ মূর্খতা থেকে শুরু হয়, আর অনুতাপে শেষ হয়’। একটা মানুষের যতই ক্রোধ অধিক তার সবকিছুতে পরাজয় বেশি। ক্রোধের কারণে মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে না। সম্প্রীতি নষ্ট করে দেয় এই ক্রোধ। ক্রোধ মানুষের বিবেক, বুদ্ধি লুপ্ত করে দেয়। মানুষের আচার ব্যবহার খারাপের দিকে ধাবিত হয়। অত্যধিক ক্রোধের কারণে মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। ক্রোধের বশবর্তী হয়ে মানুষ কথায় কথায় বিরক্ত হয়ে পড়ে, সবসময় নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়, হঠাৎ করেই চেঁচামেচি শুরু করে। এর ফলে মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়। তাই সবকিছুর আগে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দরকার। ক্রোধের কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিজেই। পরিবার, সমাজ সবার সাথে দূরত্ব তৈরি হয়। তার প্রতি অন্যদের সম্মানবোধ কমে যায়। ফলে তার জীবন ভরে যায় বিষণ্নতায়। ক্রোধ মানুষের শারীরিক ও মানসিক এই দুই সমস্যার সৃষ্টি করে। ষড়রিপুর কারণে আমাদের সুন্দর জীবন গঠন বাধা প্রাপ্ত হয়। এতে বশীভূত হয়ে আমাদের অজান্তেই আমরা আত্মীয়, প্রতিবেশী, সমাজ এমনকি দেশের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে দ্বিধাবোধ করি না। আমাদের একটাই জীবন। তাই আমাদের উচিত নিজের ও অন্যের কল্যাণের জন্য ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করা। এজন্য ধৈর্য্য, সহনশীলতা ও ক্ষমা গুণের অধিকারী হতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্তমানের হালচাল
পরবর্তী নিবন্ধভালো থাকুক নারী বন্ধুরা