কোরবানিতে মেয়ের বাপের বাড়ি হতে পশু আনা থেকে বিরত থাকুন

| শুক্রবার , ৮ জুলাই, ২০২২ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

‘কোরবানী’ শব্দের অর্থ – নৈকট্য বা সান্নিধ্য লাভ। অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্য এবং সান্নিধ্য লাভ করার অন্যতম উপায় হচ্ছে কোরবানী করা। যার সামর্থ্য আছে, একমাত্র তিনি-কোরবানী দিতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে, আমাদের দেশে কুরবানী আসলে অনেক ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষ থেকে গরু, ছাগল এগুলো দাবি করে। মেয়েদের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা হয়ত ছেলেদের দাবি পূরণ করতে সক্ষম। উচ্চবিত্ত মেয়ে পক্ষ যখন ছেলে পক্ষের বাড়ি গরু, ছাগল ইত্যাদি প্রেরণ করে থাকে, তখন এই কুরবানীর পশুর হাওয়া মধ্যবিত্ত এবং হতদরিদ্রদের মাঝ দিয়ে, ঝড়ের মত বিশাল আঘাত হানে। কারণ, প্রতিটি মা-বাবা, ভাই-বোন তারা সবাই চায়, তাদের মেয়ে সুখে থাকুক। শুধুমাত্র কুরবানীর পশু না দেওয়াতে অনেক মেয়েকে বলির শিকার হতে হয়। অনেক মা-বাবা সুদে টাকা এনে, কর্জ করে পশু দিয়ে থাকে। ছেলে পক্ষ যারা আছে, তারা যদি একটু মানবতার চোখ দিয়ে তাকায়, তাহলে এমন জঘণ্য কাজ তাঁদের দ্বারা সংঘটিত হবে না। কথায় আছে, ‘পাপ বাপকেও ছাঁড়ে না’ আজকের বর, আগামী দিনের মেয়ের বাবা হবে। তিনি নিজেও এই পরিস্থিতির শিকার হবে। প্রতিটি মেয়ে তাঁর মা-বাবার কাছে রাজকন্যার মত। সুতরাং আমাদের যাদের সামর্থ্য আছে, তারা নিজেরা কোরবানী করব, কেন না কোরবানী একটি পবিত্র কাজ। এটা অন্যের কষ্টের দীর্ঘশ্বাসের বস্তু দিয়ে কোরবানী করা একটা জঘণ্যতম অন্যায়। আর এ অন্যায় থেকে আমাদের সকলের বেঁচে থাকা অপরিহার্য।
মো. আব্দুল করিম গাজী
শিক্ষার্থী,
ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআধুনিক চিত্রকলার অনন্য প্রতিভা শিল্পী আমিনুল ইসলাম
পরবর্তী নিবন্ধবর্ষাকালে শিশুর পানিতে ডুবে মারা যাওয়া: প্রয়োজন সচেতনতা