আধুনিক চিত্রকলার অনন্য প্রতিভা শিল্পী আমিনুল ইসলাম

| শুক্রবার , ৮ জুলাই, ২০২২ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

আমিনুল ইসলাম। বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। চিত্রকলায় তাঁর সৃজনশীলতা আর অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর মেলে বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে। কেবল আঁকিয়ে নয়, প্রগতিশীল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। শিল্পী আমিনুল ইসলামের জন্ম ১৯৩১ সালের ৭ নভেম্বর। আমিনুল ইসলাম লেখাপড়া করেছেন আর্ট স্কুলে। ১৯৪৭ সালে তিনি মেট্রিক পাস করেন এবং চিত্রকলা বিষয়ে পড়াশুনার জন্য কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি হতে যান। কিন্তু শিল্পী জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, শফিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখের পরামর্শে তিনি কলকাতা থেকে ঢাকায ফিরে আসেন। ১৯৪৮ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্ট (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এ ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি প্রথম বিভাগে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন এবং ইতালি সরকারের বৃত্তি নিয়ে ফ্লোরেন্সে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। আমিনুল ১৯৫৬ সালে ইতালি থেকে দেশে এসে ঢাকা আর্ট কলেজের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই তিনি শিক্ষকতা থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তিনি প্রধানত তেল ও জলরং এবং মোজাইক, ম্যুরাল, কোলাজ ও অন্যান্য মাধ্যমে কাজ করেছেন।
তাঁর আঁকা বিভিন্ন ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘কিউ’, ‘বর্ষা’, ‘জেলের স্বপ্ন’, ‘দুটি মুখ’, ‘শিকার’, ‘ফ্লোরেন্স’, ‘নারী ও কবুতর’, ‘নবান্ন’, ‘দুর্গা ও শিব’, ‘ইন বন্ডেজ’, ‘পাখি নিয়ে মেয়ের খেলা’ ইত্যাদি। তিনি তাঁর শিল্পকর্ম চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার-১৯৭৬, একুশে পদক-১৯৮১, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা-১৯৮৫, স্বাধীনতা পুরস্কার-১৯৮৮ সহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ৮ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধকোরবানিতে মেয়ের বাপের বাড়ি হতে পশু আনা থেকে বিরত থাকুন