কোটা পদ্ধতি নিয়ে ভাবা হোক

| বুধবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কোটা পদ্ধতির বর্তমানে যে কাঠামো তা সত্যিকারেই মেধাবীদের বঞ্চিত করছে। যে জন্য কোটা পদ্ধতির সংস্কার আশু আবশ্যক। কোনও পরিবারের বাবা যদি কোটার কল্যাণে চাকরি পান তবে সে পরিবারে আর তো কারো জন্য কোটা বরাদ্ধ রাখার প্রয়োজন থাকার কথা নয়। যারা রাষ্ট্র থেকে আর্থিক অনুদান পায় তাদের জন্য কোটার সংরক্ষণ একপ্রজন্ম পর্যন্ত বহাল রাখাই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হবে। কোটা পদ্ধতিতে সংস্কারের মাধ্যমে শতকরা ৫৫ ভাগ থেকে যদি ৩০ ভাগে অবনমিত করা যায় তবে সেটা সব পক্ষের জন্যই মঙ্গলের হবে বলে ধারনা করছি। কোটার নামে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ এর ফলাফলে দেখা যায় ৩৭ হাজার নিয়োগের বিপরীতে ৬১ জেলার প্রায় ৪৮০ টা উপজেলায় সাধারণ চাকরিপ্রার্থীর জন্য প্রতি উপজেলায় গড়ে মাত্র ১১ জন করে নিবার্চিত। যেখানে ৬০প্লাস পেয়ে সাধারণ চাকরিপ্রার্থী উত্তীর্ণ হয় না সেখানে ৪০৪৫ পেয়েও কোটাধারীরা চাকরি পেয়ে যায়। শিক্ষার ভিত্তি মূলত গড়ে ওঠে প্রাইমারিতে। সেই প্রাইমারিতেই যদি উপযুক্ত, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ না দেয়া হয় তাহলে সেই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগে না। উন্নত বিশ্বে যেখানে প্রাথমিক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় এবং অধিক বেতনের ব্যবস্থা করে যাতে সবচেয়ে বেশি মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করে সেখানে আমরা কম উপযুক্ত লোকদের নিয়োগ দিয়ে দেই। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

শরীফ হাসান

চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবদুল জব্বার খান : বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাসের গৌরবময় মুহূর্ত