জুতোজোড়া ছিল সাদা, আমতল থেকে কেনা
হাঁটতো পায়ের আগে, বেঢপ তবে সুন্দর
সিনেমায় দেখি কাউবয়দের পায়ে
কাপড়ের সাথে মানাবে কি মানাবে না, ভাবিনি
কোথা থেকে এলো কেম্বিস
কতো হলো ধারদেনা
কেউ জানবে না, কোনদিনই।
থকথকে কাদাপথে, বগলে নিয়েছি আদরে
প্যারিসের কেম্বিস, পা বাঁচিয়েছে
কাঁটা ও কাঁকর থেকে।
মায়ের হাতের তালপাখা আধোঘুমে
তাড়িয়েছে যেন কপালের ডুমোমাছি
পায়ের আগে হেঁটেছে পায়ের জুতো
মা’র সম্বল দু’গাছি সোনার বালা
বানিয়ার থেকে ফেরত এনেছি না বেচে
দেখেছি মায়ের হীরকের দ্যুতি হাসি।
কেম্বিসজোড়া ছিঁড়ে হলো ফালাফালা
সোল ভেঙে গেছে, সুখতলা গেছে ক্ষয়ে
আমতলা থেকে ফের কেনা হলো চপ্পল
ঢোলা পাৎলুনে ফুটফুট কাদা ছিটা
সোনাপানি ধোয়া মায়ের কাঁকনজোড়া
বুক–সিন্দুকে সযতনে রেখে দিয়েছি।
লকারে গহনা, চকমকে সোনাদানা
হাশ পাপ্পিস জুতোজোড়া গ্লিস মারে
কালো মায়া দেখি প্রেতিনীর মুখাবয়বে।
সাদা কেম্বিসে দুনিয়ার পথে হেঁটে
দেখতে পেয়েছি মায়ের ছায়া ও কায়া।
তালপাখা নিয়ে হাত নাড়ে শুধু মা
এসি’র বাতাসে ঘুমহীন রাতে ঘামি।