কৃষকের মাঠে সূর্যমুখী ফুলের হাসি

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ১৮ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে ফুটে উঠেছে মীরসরাইয়ের কৃষকের মাঠ। প্রথমবারের মতো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার ও বীজ প্রণোদনার মাধ্যমে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। বর্তমানে সূর্যমুখীর অধিকাংশ গাছেই ফুল ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মীরসরাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ৪ হেক্টর জমিতে প্রদর্শনী প্রকল্পের আওতায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন ৩০ জন চাষি। বর্তমানে বাজারে ভোজ্য তেলের আকাশছোঁয়া দাম হওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে ৭ মণ থেকে ১০ মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০ লিটার থেকে ২০০ লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার তেলের বাজার সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ২৫০ টাকা। অন্যদিকে সূর্যমুখী চাষে খরচ তেমন একটা নেই বললেই চলে। ফলে অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে লাভের সুযোগ অনেক বেশি বলে মনে করছেন কৃষকরা।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের পরাগলপুর গ্রামের সূর্যমুখী ফুল চাষি মো. নঈম উদ্দিন বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ প্রণোদনা নিয়ে ৩৩ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। খরচ বাদে অর্ধেক লাভ হওয়ার আশা করছি। আরেক কৃষক শাহজাদা জানান, সূর্যমুখী ফুলের ফলন ভালো হয়েছে। তবে তেল উৎপাদনের মেশিন না থাকায় বীজ কম মূল্যে বিক্রয় করে দিতে হয়। যদি মেশিন থাকত তাহলে উপজেলায় প্রতিবছর সূর্যমুখী চাষ বাড়তো। সূর্যমুখী ফুল দেখার জন্য আসা সুজন নামে এক যুবক বলেন, সবধরনের ফুল ভালো লাগলেও চারদিকে ফসলি জমির মাঝখানে একসঙ্গে অসংখ্য সূর্যমুখী ফুল ফোটায় সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। নয়ন জুড়ানো সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ রায় বলেন, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। আগামীতে উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আমি আশাবাদী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুনেই চলবে ট্রেন
পরবর্তী নিবন্ধশিশুর যত্ন নিলে পরিবার হবে সুন্দর ও সুখের