কৃষকের ঘরে বোরো ধান, প্রভাব বাজারে

পাইকারিতে চালের দাম কেজিতে কমেছে ৩ টাকা, খুচরায় প্রভাব নেই

জাহেদুল কবির | শনিবার , ৩ জুন, ২০২৩ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

কৃষকের ঘরে বোরো ধান ওঠার জেরে পাইকারিতে কমছে চালের দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চালের আড়তদাররা বলছেন, এ বছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ার কারণে মূলত দাম কমছে। এদিকে পাইকারী বাজারে দাম কমলেও এর কোনো খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নগরীর চাক্তাইয়ের চালপট্টির পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ, বেতি আতপ, পাইজাম আতপ, কাটারিভোগ আতপ, পাইজাম সিদ্ধ ও স্বর্ণা সিদ্ধ চালের দাম ৫০ কেজি বস্তা হিসেবে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কমেছে। এসব চালের সিংহভাগ আসে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং কিশোরগঞ্জের আশুগঞ্জ থেকে।

চালের আড়তদাররা জানান, বর্তমানে বাজারে কাটারি আতপ (২৫ কেজি বস্তা) বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া কাটারি সিদ্ধ (২৫ কেজি বস্তা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। মিনিকেট আতপ (৫০ কেজি বস্তা) বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮৬০ টাকায়। নাজিরশাইল সিদ্ধ (২৫ কেজি বস্তা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকায়। জিরাশাইল সিদ্ধ (২৫ কেজি বস্তা) বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। স্বর্ণা সিদ্ধ (৫০ কেজি বস্তা) বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকায়। দেশি বেতি আতপ (৫০ কেজি বস্তা) বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পাইজাম আতপ (২৫ কেজি বস্তা) বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকায়।

চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন বাদশা দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে চালের বাজার নিম্নমুখী। সম্প্রতি কৃষকের ঘরে বোরো ধান উঠেছে। ফলে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম দৈনিক আজাদীকে বলেন, বর্তমানে ইরি ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা এবং ২৮ ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। আসলে এবার বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। যার ফলে দাম কমছে।

চাক্তাইয়ের রাইয়ান ট্রেডিংয়ের চাল বিক্রেতা সরোয়ার চৌধুরী বলেন, বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ রয়েছে। এর প্রভাবে দামও কমছে।

অপরদিকে পাইকারী চালের দাম কমলেও খুচরা বাজারে ৫৫ টাকার নিচে কোনো ধরনের চাল মিলছে না। মোটামুটি মানের চাল কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৬৫ টাকা। এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, চালের দাম পাইকারী বাজারে কমলেও খুচরা বাজারে কমে না। কিন্তু পাইকারীতে বাড়ার সাথে সাথে খুচরাতে বেড়ে যায়। বিষয়টি প্রশাসনকে তদারকি করা দরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধকোভিডে ৬৬ দিন পর দুই মৃত্যু