নগরের খাল–নালায় মানুষের ফেলা প্লাস্টিক পলিথিনসহ নানা অপচনশীল বর্জ্যে ভরে থাকে– এটা সবাই জানে। এবার তার সঙ্গে যোগ হল বাথরুমের ভাঙা কমোড ও পুরনো লেপ–তোষক। সাথে আছে মেডিকেল বর্জ্য।
নগরের প্রবর্তক মোড়ে হিজরা খাল ও তৎসংলগ্ন নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে বর্জ্য পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগ। তাই দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে প্রবর্তক মোড়ের পাশে হিজরা খালে অর্ধশতাধিক পরিচ্ছন্নকর্মী দিয়ে বিশেষ পরিচ্ছন্ন অভিযান চালায় চসিক। সেখানে উপস্থিত থেকে তা মনিটরিং করেন স্বয়ং মেয়র। এসময় স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছি। কিন্তু কিছু মানুষের অসচেতন আচরণ নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখার পেছনে বড় বাধা হয়ে আছে। এ জন্য আমরা সচেতনতা বাড়াতে জোর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, মানুষ সচেতন না হলে আমরা কখনোই এ শহর পরিষ্কার রাখতে পারবো না। জনগণ যদি সচেতন হয় ভৌগোলিক কারণে বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। এরপরও কেউ অযথা নালায় ময়লা ফেললে যার প্রতিষ্ঠান–বাসার সামনে ময়লা পাবো তাকে আইনের আওতায় আনবো, জরিমানা করবো।
জলাবদ্ধতা কমাতে সিডিএ’র সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, শহরের ৩৬টি খালে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ চলছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে। এতগুলো খালের মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল, গাইড ওয়াল, স্লাব বসানো সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই সিডিএ’কে জানিয়েছি যাতে বর্ষার আগে অন্তত চলমান প্রকল্পের অধীন নালা–খালগুলোর জমে থাকা মাটি যাতে সরিয়ে নেয়া হয়। খাল–নালা পরিষ্কার থাকলে জলাবদ্ধতা কমবে। নগরের অভ্যন্তরীণ নালার দায়িত্ব আমাদের। আমরা এগুলো পরিষ্কার করছি, মাটি উত্তোলন করছি। এটা চলমান থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তফা টিনু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, উপ–প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি।
