কি ছু জা না কি ছু অ জা না

প্রবীর বড়ুয়া | বুধবার , ১ জুন, ২০২২ at ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ

  • পৃথিবীতে ৩০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির মাছ আছে যার অনেকগুলো এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।
  • একসাথে থাকা অনেকগুলো মাছের একটি দলকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘স্কুল’।
  • মাছ ফুলকার সাহায্যে পানি থেকে অঙিজেন আলাদা করে গ্রহণ করার মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস চালিয়ে থাকে।
  • অধিকাংশ মাছের চোখের পাতা নেই। তাই তারা পানিতে সাঁতার কাটার সময় চোখের পলক ফেলতে পারে না। একমাত্র মাছ যেটি চোখের পলক ফেলতে পারে সেটি হলো হাঙ্গর।
  • কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ মাছের রক্ত শীতল। উষ্ণ রক্তযুক্ত মাছগুলোর মধ্যে আছে টুনা, ম্যাকেরেল হাঙ্গর ও ওপাহ।
  • মাছ পাখনার সাহায্যে সাঁতার কাটে কিন্তু মাছকে পানির মধ্য দিয়ে সাঁতার কেটে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে মাছের গায়ের আঁশ।
  • মাছ মেরুদণ্ডী প্রাণী। জেলি ফিশ এবং স্টার ফিশকে মাছ বলা হলেও সেগুলো কিন্তু আসলে মাছ নয় তাই তাদের কোনো মেরুদণ্ড নেই।
  • মাছ খুব দ্রুত সাঁতার কাটতে পারে। খুব দ্রুত সাঁতার কাটতে পারে এমন কয়েকটি মাছ হলো সেইলফিশ, মার্লিন ও টুনা। সেইলফিশ ঘণ্টায় ৬৮ মাইল, মার্লিন ঘণ্টায় ৫০ মাইল এবং টুনা ঘণ্টায় ৪৭ মাইল পর্যন্ত সাঁতার কাটতে পারে। মাছের যদিও ভোকাল কর্ড অর্থাৎ স্বরতন্ত্রী নেই তারপরও তারা একে অন্যের সাথে ভাববিনিময় করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে মাছেরা ভাববিনিময় করে শব্দ, রঙ, বৈদ্যুতিক স্পন্দন এমনকি গতির মাধ্যমেও।
  • বিশ্বে সবচেয়ে বড় আকারের মাছ হলো হোয়েল শার্ক অর্থাৎ তিমি হাঙ্গর। এটি লম্বায় ১২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং এর সর্বোচ্চ ওজন হতে পারে ১৮.৭ টন পর্যন্ত।
  • মাছ তৃণভোজী, মাংসাশী কিংবা উভয় ধরনেরই হতে পারে।
  • মাছের স্মৃতিশক্তি খুবই ভালো এবং কিছু মাছ যে মানুষ তাদের নিয়মিত খাবার দেয় তাকে চিনতেও পারে। তাছাড়া মাছ নির্দিষ্ট গানের সুরও স্মরণ করতে পারে।
  • নির্দিষ্ট কিছু মাছ তাদের আবাসস্থল থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরেও চলে যেতে পারে।
  • বর্তমানে নানা কারণে বিলুপ্তির মুখোমুখি ১,১৭৩ প্রজাতির মাছ।
  • অধিকাংশ মাছ ডিম পাড়ার মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে যদিও গ্রেট হোয়াইট শার্ক বংশবৃদ্ধি করে বাচ্চা জন্মদানের মাধ্যমে।
  • ইলেকট্রিক ইল এবং ইলেকট্রিক রে মাছের শরীরে এত বিদ্যুৎ আছে যে তা একটা ঘোড়াকে মেরে ফেলতে পারে।
  • পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মাছগুলোর একটি হলো টাইনি গোবি যা পাওয়া যায় ফিলিপাইনে। একটি পূর্ণবয়স্ক টাইনি গোবি মাছ সচরাচর আধ ইঞ্চির চেয়ে খুব একটা বড় হয় না।
  • সিন্ধুঘোটক অর্থাৎ সীহর্স তার চোখগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে নাড়াতে পারে।
  • পানির বাইরে কয়েক বছর বেঁচে থাকতে পারে যে মাছ সেটির নাম হলো লাংফিশ।
  • অনেক প্রজাতির মাছ প্রয়োজন, পরিবেশ এবং বছরের সময়ের ওপর নির্ভর করে রঙ বদলাতে পারে। এ রঙ হতে পারে নীল, সবুজ, গোলাপী কিংবা লাল।
  • মাছ আমাদের মতো চোখ বন্ধ করে ঘুমায় না কারণ তাদের চোখের পাতা নেই তবে তারা বিশ্রাম নেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিশ্রাম নেওয়ার সময় মাছ তার নড়াচড়া কমিয়ে দেয়। এসময় কিছু মাছ পানিতে ভেসে থাকে, কিছু মাছ নিরাপদ কোনো জায়গায় গিয়ে আটকে থাকে, আবার কিছু মাছ সুবিধাজনক বাসা খুঁজে নেয়। মাছ যেভাবেই বিশ্রাম নেয় না কেন বিপদের জন্য কিন্তু ঠিকই সতর্ক থাকে।
পূর্ববর্তী নিবন্ধখুকী গেল মেঘের বাড়ি
পরবর্তী নিবন্ধরেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশনের কোরআন বিতরণ কর্মসূচি