এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ১২ কোটি ১১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা।
২০২০-২১ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদে ১২ হাজার ৩০৮.০৬ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি(বিএফডিসি)।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কেন্দ্র (বিএফডিসি) রাঙামাটি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৬১৩.৩৭ মেট্রিক টন কিন্তু ২০২০-২১ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৩০৮.০৬ মেট্রিক টন যা গত বছরের চেয়ে ৩০৫.৩১ টন কম।বিএফডিসি রাঙামাটি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদনে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৫ কোটি ২৪ লক্ষ আট হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১২ কোটি ১১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ কোটি টাকা কম।
এদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটির ফিশকালচারিস্ট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাঈম আহমেদ রিয়াদ জানান, কাপ্তাই হ্রদে এ বছর ৪৫.৯২ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার হ্যাচারি থেকে ৫শ’ চিতল ও ১ হাজার শোল মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করা হয়।
তিনি জানান, এবার হ্রদে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকায় এ বছর হ্রদে মাছের উৎপাদন এবং রাজস্ব আদায় দুটোই কম হয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রতি বছর হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকা অবস্থায় অর্থাৎ ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জুন মাসের মধ্যে হ্রদ পরিপূর্ণ থাকে কিন্তু গত বছর হ্রদে পানি আসে অক্টোবর মাসে। এতে মাছের উৎপাদন কম হয়েছে। আশা করছি আগামী মৌসুমে মাছের উৎপাদন আরো ভালো হবে।”
উল্লেখ্য,৭২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার, আহরণ ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে।”
রাঙামাটি বিএফডিসির হিসাব মতে, রাঙামাটি জেলায় প্রায় ২৫ হাজার জেলে ছাড়াও মাছ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
