কাপ্তাইয়ে ১৬ দিনের ব্যবধানে ৮৬ লাখ টাকার কাঠ উদ্ধার বিজিবির

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই | রবিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২০ at ২:৩৪ অপরাহ্ণ

কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনাস্থ মিতিঙ্গাছড়ি এলাকা থেকে আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) ৪শ ঘনফুট সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধার করেছে ৪১ বিজিবি।
সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীরা কেটে পাচারের জন্য এসব কাঠ জড়ো করেছিল।
স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে খবর পেয়ে ৪১ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ অভিযান পরিচালনা করে কাঠগুলো উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে।
কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দন আহমেদ কাঠ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারকৃত কাঠগুলো সহ গত ১৬ দিনে ৪১ বিজিবি কর্তৃক ৮৬ লাখ টাকা মূল্যের সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাত্র ১৬ দিনের ব্যবধানে ৪১ বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ সেগুন ও গামারী কাঠ উদ্ধারের ঘটনায় পুরো কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সাড়া পড়েছে।
সংঘবদ্ধ কাঠ চোরের দল সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব মূল্যবান কাঠ অবৈধভাবে কেটে পাচারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল কিন্তু স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবি’র সৈনিকরা অভিযান পরিচালনা করে কাঠগুলো উদ্ধার করেন। প্রতিটি উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
সূত্র জানায়, ১ম দফায় গত ২ অক্টোবর কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা থেকে ৫শ’ ঘনফুট মূল্যবান সেগুন ও গামারি কাঠ উদ্ধার করে বিজিবি। উদ্ধারকৃত কাঠের মূল্য ৩০ লাখ টাকার অধিক হবে বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় দফায় গত ১০ অক্টোবর কোদালা এলাকা থেকে ৬শ’ ঘনফুট সেগুন ও গামারী কাঠ উদ্ধার করে বিজিবি।
দ্বিতীয় দফায় উদ্ধুরকৃত কাঠের দামও ৩০ লাখ টাকার অধিক হবে বলে জানা গেছে।
তৃতীয় দফায় গত ১৫ অক্টোবর রাইখালী ইউনিয়নের ভাল্লুকিয়া এলাকা থেকে ২শ’ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয় যার মূল্য আনুমানিক ১০ লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে।
উদ্ধারকৃত সব সেগুন ও গামারি কাঠের আনুমানিক মূল্য ৮৬ লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে।
বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে মূল্যবান কাঠ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন। সংরক্ষিত বনের কাঠ চুরির আলামত নজরে আসার সাথে সাথে স্থানীয় জনগণ বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিজিবিকে অবহিত করেন বলে জানা গেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অনুমতি ব্যতিরেকে গাছ কাটার প্রতি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিন্তু সংঘবদ্ধ কাঠ চোরের দল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংরক্ষিত বন থেকে গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করে আসছে।
স্থানীয় জনগণ বনের গাছ কাটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণ কাছ কাটার বিষয়টি অবহিত করার সাথে সাথে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন দফা দাবিতে ফের চবি অফিসার সমিতির কর্মবিরতি শুরু
পরবর্তী নিবন্ধচবি সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষককে হত্যার হুমকি