কাপ্তাইয়ে স্কুলের টয়লেটে নারীর লাশ, আটক ২

কাপ্তাই প্রতিনিধি | সোমবার , ১৪ মার্চ, ২০২২ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাইয়ে একটি স্কুলের পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে হাছিনা আক্তার সুমি (৩০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার বিএফআইডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সুমি উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। কেউ হত্যা করে লাশ রেখে গেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ বলেন, যে টয়লেটে মহিলার লাশ পাওয়া গেছে সেটি একটি পরিত্যাক্ত টয়লেট। এটি এখন কেউ ব্যবহার করে না। স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাচ্ছলে টয়লেটে গিয়ে লাশ দেখে ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। শিশুদের চিৎকার শুনে স্কুলের দপ্তরি সাদ্দাম টয়লেটে গিয়ে মহিলার লাশ দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে খবরটি জানাই।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের টয়লেটে মহিলার লাশ পাবার খবর দ্রুত সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে শতশত মানুষ স্কুলে উপস্থিত হন। কাপ্তাই থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত স্কুলে হাজির হয়। রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম, কাপ্তাই সার্কেলের এএসপি রওশন আরা এবং কাপ্তাই থানার ওসি মো. জসিম উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি মর্গে পাঠায়।
কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম হাসিনা আক্তার সুমি। সে উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে। সে বিবাহিতা নারী। তার স্বামীর নাম ইমাম উদ্দিন। তবে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয় বলে জানা গেছে। নিহত সুমির মা আমেনা বেগম থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন। তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন এবং কয়েকজনকে আসামি করে কাপ্তাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা হিসেবে মনে হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আর কে বা কারা জড়িত আছে পুলিশি তদন্তে সবই উদ্ধার করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধফেল থেকে পাস ২৭, নতুন জিপিএ-৫ পেল ৬ জন