কাতারে বিশ্বজয়ের স্বপ্নে নামছে পর্তুগাল। রোনাল্ডোদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ঘানা। তবে এবার হয়তো বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে দেখাই যেত না। কারণ যোগ্যতা নির্ধারণ পর্বে সার্বিয়ার কাছে হেরে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল পর্তুগালের ভবিষ্যৎ।
শেষমেষ ম্যাসাডোনিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে যোগ্যতা পায় পর্তুগাল। তাই গ্রুপ পর্বের ভুল ত্রুটি শুধরে অষ্টমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামছে পর্তুগাল। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সাফল্য নেই পর্তুগালের। ১৯৬৬ ফিফা বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল মাত্র।
চলতি বিশ্বকাপে অতিরিক্ত রোনাল্ডো নির্ভরতা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে দলটি। একটি ইউরো কাপ আর ২০১৯ নেশনস লিগের শিরোপা রয়েছে তাদের ঝুলিতে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এর থেকে বড় সাফল্য নেই পর্তুগিজদের শিবিরে।
পর্তুগাল মানে যে শুধুই রোনাল্ডো নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। রোনাল্ডোর ছায়া থেকে বেরিয়ে নতুন প্রজন্মে ফোকাস করতে চাইছেন কোচ। দিয়েগো জোটা, বার্নান্দো সিলভা ম্যাচের রং বদলাতে পারেন। গোলকিপার দিয়েগো কোস্টার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে পর্তুগাল শিবিরে।
দলে পেপের মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রয়েছে। তাই প্রথম ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে মরিয়া স্যান্টোসের দল। অন্যদিকে ২০১০ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা ঘানা গত বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি মূল পর্বে খেলার। তাই এবার নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দিতে চাইছেন ওটো আডোর দল।
তারুণ্য নির্ভর ঘানা দলের ভরসা গতি। ডিফেন্স সামলে পাল্টা প্রতি আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘানা শিবিরের। রোনাল্ডোকে আটকানোর জন্য থাকছে জোনাল মার্কিং। পর্তুগালের বিরুদ্ধে ঘানার বাজি কুড়ি বছর বয়সী স্ট্রাইকার কামালদিন সুলেমানা ও ১৮ বছর বয়সী ফাতাওউ।
মাঝ মাঠে দলের ভরসা থমাস পার্টে। ফিফা ক্রমতালিকায় এই মুহূর্তে ৬১ নম্বরে রয়েছে দলটি। বিশ্বকাপ খেলতে আসা ৩২ টি দেশের মধ্যে সবথেকে শেষ ক্রমতালিকায় রয়েছে ঘানা। তবে অঘটনের বিশ্বকাপে সৌদি আরব, জাপানের মতো আরো একটা অঘটন ঘটাতে তৈরি আফ্রিকার দেশটি।