কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি ঘোষণার গেজেট হবে না কেন : হাই কোর্ট

| বৃহস্পতিবার , ২১ জুলাই, ২০২২ at ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে কেন গেজেট প্রকাশ করা হবে না, জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দিয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান দাউদ। খবর বিডিনিউজের।

গত ২২ জুন কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। তার আগে গত ৩১ মে সরকারের সংশ্লিষ্ট ওই তিন দপ্তরে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদ উদ্দিনসহ ১০ আইনজীবী। ওই আইনি নোটিসে বলা হয়েছিল, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমণ্ডিতে তাকে একটি বাড়ি দেওয়া হয়। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘ডি লিট’ উপাধিতে ভূষিত করে। এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। সব কিছুরই ছবি, তথ্যসহ লিখিত দলিল থাকলেও জাতীয় কবি হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির কোনো দলিল বা প্রমাণ নেই।

নোটিসে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি হয়ে আছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন হাজার টমটম-রিকশার ব্যাটারি চার্জে বিদ্যুতের যথেচ্ছ ব্যবহার
পরবর্তী নিবন্ধসঙ্কটের আবহেই শ্রীলঙ্কা পেল নতুন প্রেসিডেন্ট