আগামি প্রজন্মকে সুস্থ, সবল রাখতে ও মেধাবী হিসাবে গড়ে তুলতে নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। কারন ভেজাল ও জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার গ্রহনের কারনে শিশুরা অমনোযোগী, বখাটে, স্থুলতা ও রোগাক্রান্ত হচ্ছে। আবার খোলা ও দুষিত পানি ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী খাবার গ্রহনের কারনে ডায়রিয়া, জন্ডিস, হাপানী, ডায়বেটিস, ক্যান্সারসহ নানা প্রাণঘাতি রোগের আক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। আর জাঙ্কফুডে প্রয়োজনীয় খাদ্য-পুষ্টি নাই, প্রচুর চর্বি, চিনি ও লবনের আধিক্য। তাই এখনই সময় ‘জাঙ্কফুডকে না বলুন, আর মায়ের দেয়া বাসায় তৈরী খাবারকে হ্যাঁ বলুন’। গতকাল চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে দুইদিন ব্যাপী ‘মায়ের দেয়া বাসায় তৈরী টিফিন খাবো, বাইরের খোলা খাবার বর্জন করবো’ শিরোনামে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রচারনা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত আহবান জানান।
ক্যাব যুব গ্রুপ মহানগরের উদ্যোগে প্রচারণা কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। ক্যাব বিভাগীয় সংগঠক জহুরুল ইসলাম ও ক্যাব যুব গ্রুপের আইন সম্পাদক মিনা আকতারের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার নাজমুস সুলতানা সীমা, মুক্তিযোদ্ধা ড. ইদ্রিস আলী, কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, জেসমিন সুলতানা পারু। আলোচনায় অংশ নেন ক্যাব অজয় মিত্র শংকু, ডা. মেসবাহ উদ্দীন তুহিন, শাহীন চৌধুরী, মো. জানে আলম, চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, আবু হানিফ নোমান, অংসাহ্লা মার্মা, নিলয় বর্মন, মোহাম্মদ সুজন, ইমদাদুল ইসলাম, রাসেল উদ্দীন, আবুল কালাম, নাঈম মুহাম্মদ নিশান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে নিরাপদ ও সুষম খাদ্যের বিকল্প নেই। সেকারনে ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য গ্রহন ও দেশীয় ফল, শাক সবজি গ্রহনে আগামী প্রজন্মকে উদ্ধুদ্ধ করতে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করার আহবান জানান বক্তারা। কর্মসূচিতে প্রামান্যচিত্র ও স্লাইড প্রদর্শনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য ও জাঙ্কফুড বিষয়ে তথ্য পরিবেশন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
