কর্ণফুলী দূষণে ব্যবস্থা নেয়া হোক

| রবিবার , ৩ মার্চ, ২০২৪ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় রাজস্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক। যা জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম সোপান। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো যে, কর্ণফুলী এতই গুরুত্বপূর্ণ, আজ অবহেলা ও ভোগদখলের স্বীকার। আমরা এতই হীনম্মন্য যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নদী ভরাট, কলকারখানার বর্জ্য, জাহাজের তেল, নগরের আবর্জনা ইত্যাদি কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দূষিত করছি।

কর্ণফুলী নদীদূষণের সবচেয়ে বড় কারণঅবৈধ দখল, শিল্পায়ন ও উন্নয়নের নামে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং শিল্প কারখানার বর্জ্য। নৌকা ও জাহাজ থেকে তেল নিঃসরণেও কর্ণফুলী দূষিত হচ্ছে। দখলদারদের লালসার শিকার হয়ে কর্ণফুলী হয়ে পড়ছে অনাব্য। নদীর পাড়ে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে নদীপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে কর্ণফুলী নদী তার যৌবন হারিয়ে পরিণত হচ্ছে বিকলাঙ্গে। নদীতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ফেলার কারণে জীববৈচিত্র্যসহ মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।

তাই, বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রাম তথা দেশের স্বার্থে, কর্ণফুলী নদী দূষণ রোধে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে, কর্ণফুলী রক্ষায় সরকারকে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা সময়ের দাবী।

এম. আবু ছৈয়দ চৌধুরী

নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুকুমার সেন : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিদগ্ধ পণ্ডিত
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ফুটওভারব্রিজ প্রসঙ্গে