কর্ণফুলীতে পাওয়া লাশটি নিখোঁজ ডেন্টাল টেকনোলজিস্টের

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৪ জুলাই, ২০২৩ at ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে দুই দিন আগে উদ্ধার করা লাশটি একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্টের বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজেশ বড়ুয়া নামের ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব শীলকূপে। তার পিতার নাম কমল কান্তি বড়ুয়া। নগরীর নন্দনকানন ১ নম্বর গলিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ শনাক্ত করেন বলে সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ জানান।

তিনি আজাদীকে বলেন, গত ১০ জুলাই নগরীর নন্দনকাননের ১নং গলি এলাকার ছকিনা ভবনের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি রাজেশ। এ ঘটনায় তার স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং ১০৬৯) করেছিলেন। রাজেশের স্ত্রী পূজা বড়ুয়ার জিডিতে বলা হয়, তার স্বামীর অনেক দেনা ছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হন। পরে বেলা ৩টার দিকে ফোন করে বলেন ‘ভালো থেকো’। এরপর ফোন কেটে দেন। পরে আর ফোন ধরেননি। দেনাদারের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় রাজেশ আত্মগোপনে গেছেন বলে জিডিতে ধারণা প্রকাশ করেছিলেন পূজা।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সদরঘাট থানাধীন বাংলাবাজার সাম্পান ঘাট থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। লাশটি জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছিল। পরিচয় না পাওয়াতে সে লাশ চমেক হাসপাতালে মর্গে ছিল। তার পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করে নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডিগুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সেই ধারাবাহিকতায় পরিবারের সদস্যরা মর্গে গিয়ে ওই লাশ রাজেশের বলে শনাক্ত করেন। সে লাশ নিশ্চিত হওয়ার পর স্বজনেরা গ্রহণ করে চট্টগ্রামের চাদগাঁওস্থ সার্বজনীন শ্মশানে দাহ করা হয়।

এদিকে লাশের পরিচয় পাওয়ার পর থেকে তার মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা কল্পনা জল্পনা। রাজেশ বড়ুয়ার সাথে বিগত ৫ বছর আগে রাঙ্গুনিয়া সৈয়দবাড়ি এলাকার মিটু বড়ুয়া ও চুমকী বড়ুয়ার কন্যা পূজা বড়ুয়ার বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তান ছিল না। বিগত কয়েকববছর যাবত তিনি নিজে কার চালিয়ে এলাকায় আসা যাওয়া করতেন, নানাজনকে নানাভাবে সহযোগিতা করতেন বলে স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতীক বরাদ্দের পর শুরু আনুষ্ঠানিক প্রচারণা
পরবর্তী নিবন্ধরেল সংযোগ স্থাপিত হবে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর ও পতেঙ্গা বে-টার্মিনালে