কর্ণফুলীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মুহাম্মদ মুছা (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। রবিবার সকালে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। শনিবার (১৬ জুলাই) গভীর রাতে উপজেলার বড়উঠানের ৮ নং ওয়ার্ডের মিয়ারহাট এলাকার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার মুছা কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের আলম মাঝির বাড়ি এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র; পেশায় একজন ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর গ্রামের গাবতল এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী। মুছা নিজের পরিচয় গোপন করে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বড়উঠান ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জোবেদা আকতার মিতু জানান, ওই গৃহবধূর সাথে অভিযুক্ত মো. মুছার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুছা ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় এবং ওই কিশোরীর অশালীন ছবি মোবাইলে ধারণ করে রাখে। ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে গত শনিবার বিকেলে মিয়ারহাটে কিশোরীর বোনের ভাড়া বাসায় অভিযুক্ত মুছা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে জনতা আটক করে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিনের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ এসে রাত দুইটার সময় যুবক ও গৃহবধূকে নিয়ে যায়।’
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, যুবককে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার এসআই এমদাদুল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি মুহাম্মদ মুছাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
