কমিটি ঘোষণা ছাড়াই শেষ কাউন্সিল অধিবেশন

পটিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৯ মে, ২০২২ at ৭:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৫টায় পটিয়া বাইপাস সড়কের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে দ্বিতীয় পর্যায়ে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতিত্ব করেন। এতে সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের বিভিন্ন মতামত গ্রহণ ও প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে কাউন্সিলরদের মতামত জানতে চাইলে এ সময় উপস্থিত কাউন্সিলররা ভোট দাবি করেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনাদের কথা শুনেছি। আপনাদের নাম-বায়োডাটা আমাদের কাছে আছে। আমরা আপনাদের যোগ্যতা বিচার করে ঢাকা থেকে কমিটি ঘোষণা করবো। এতে আপনারা রাজি আছেন কিনা বলেন? এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমস্বরে রাজি বলে সমর্থন দেন। কমিটির বিষয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ওপর আস্থা রেখেছেন বলে জানান পদপ্রত্যাশীরা। ফলে কে হচ্ছেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ও হাজারো নেতাকর্মীদের প্রশ্নটি থেকেই গেল।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী আজাদীকে জানান, আমাদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ৩৩১ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে। কাউন্সিলর হিসেবে দক্ষিণ জেলার অধীনে থানা, পৌরসভার কমিটির ২৫ জন ও জেলা কমিটির ৭৫ জন কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে ১০জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে মতামত দেন। সম্মেলনের পূর্বে জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে ১৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৯ জন সিভি জমা দেয়। তবে কাউন্সিল অধিবেশনে শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জনের নাম প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের মাঝে উঠে আসে।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী, পার্থ সারথী চৌধুরী, মোহাম্মদ ফারুক, নাছির উদ্দিন মিন্টু, শফিউল আজম শেফু, জহুর আলম, তৌহিদুল ইসলাম, মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, মনসুর আলম ফয়সাল, আকতার হোসেনের নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে চন্দনাইশ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও দোহাজারী পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মনসুর আলম ফয়সাল সভাপতি প্রার্থী আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরীকে সমর্থন করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে সরে দাঁড়িয়েছেন। সাধারন সম্পাদক পদে ২২ জনের মধ্যে মোহাম্মদ সোলাইমান, মর্তুজা কামাল মুন্সী, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, রাজু দাশ হিরো, আবদুল হান্নান লিটন, সাইফুল হাসান টিটু, নুরুল আমিন, কাজী আলা উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, বেলাল হোসেন মিঠু, মুরিদুল আলম মুরাদ, মিজানুর রহমান, জামিল উদ্দিন, এস এম আজিজ, আবু সাহাদাদ সায়েম, মুসা তসলিম, এয়াছিন আরাফাত, মোহাম্মদ হাসান, তাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান, সাহাব উদ্দিন, মাহবুবুর রহমানের নাম জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেতারা যা বললেন
পরবর্তী নিবন্ধচার উপজেলায় ৪ ক্লিনিক ও ৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা