চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি যাত্রীবাহী বাস। এ সময় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন বাসের যাত্রী দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। এ সময় গুরুতর আহত হন বাস চালকসহ ছয়জন। তম্মধ্যে বাসচালকসহ দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের হারবাং মাজার গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জামাল উদ্দিনের পুত্র টিপু সুলতান (২২) এবং যশোর জেলার সুবর্ণখালীর আবু আহসানের পুত্র মোহাম্মদ তালহা জুবাইর সাজিদ (২৪)। তারা দুজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং আরও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। সমুদ্র সৈকত দেখার স্বপ্ন তাদের অনেক দিনের। কিন্তু মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় তার আগেই তাদের পাড়ি জমাতে হল না ফেরার দেশে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র জানান, হতভাগ্য দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এই দুর্ঘটনায় বিসমিল্লাহ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্রো–ব–১২–১৮৪৬) চালক হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হাইয়ের পুত্র আব্দুল মালেকসহ আরও ছয়জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তম্মধ্যে চালক আব্দুল মালেক ও অপর এক যাত্রীর অবস্থা আশঙ্ক্ষাজনক। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সড়কের পাশে আগে থেকেই দাঁড়ানো ছিল পণ্যবাহী একটি ট্রাক (চট্টমেট্রো–ট–১২–০৬৬৯)। সকাল পৌনে ৭টার দিকে কক্সবাজারগামী বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুই বাস যাত্রী। দুর্ঘটনার পর পরই মহাসড়কের উভয়দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি সরিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, দুর্ঘটনার পর ছয়জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তম্মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।