কক্সবাজারে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল করা হবে

নবনির্মিত বহির্বিভাগ উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সব হাসপাতালেই ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বার, কাজ চলছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। এছাড়া দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের চেম্বারে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টির পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের নবনির্মিত আধুনিক বহির্বিভাগের ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন এবং ক্লিনিকেও কাজ করতে পারেন। আর সেই ব্যবস্থা বর্তমান নীতিমালায় রয়েছে। এটা কোন অন্যায় নয়। তবে নীতিমালায় এটুকু আছে যে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ২টা পর্যন্ত পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই সেখানে প্রাইভেট চেম্বার করতে হবে। রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান নিশ্চিত করতেই চিকিৎসকদের জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ৩ কোটি টাকা অর্থায়নে তিন তলা বিশিষ্ট এই আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়। এর উদ্বোধনকালে জাহিদ মালিক আরও বলেন, নতুন ভবনে ডেন্টাল, কার্ডিয়াক, চক্ষু, অটিস্টিক শিশু, কিডনি এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবাসহ অনেকগুলো সেবা ইতোমধ্যে চালু হয়েছে।

কক্সবাজারে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও আগত পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও সম্প্রসারণ করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ছয় শতাধিক রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে। অনেকে ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে দেশে ফ্লোরে থেকে কোন রোগী চিকিৎসা নেবে না। প্রতিজন রোগীকে সসম্মানে বেডে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নতুন যে ভবন নির্মিত হয়েছে তাতে ৭ তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। ভবনটি ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করেই চিকিৎসার ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করা হবে। ভবনটিতে আরও ২৫০ শয্যার ব্যবস্থা করে হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের রূপ দেওয়া হবে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও সাবেক সচিব হাবিবুর রহমান খান, জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন, ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ইয়োকো আকাসাকা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআম বয়ানের মধ্য দিয়ে আজ প্রথম পর্বের ইজতেমা শুরু
পরবর্তী নিবন্ধউষ্ণতার পরশ নিয়ে শীতার্তদের পাশে