কক্সবাজারে ২৪৫ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন

টেকনাফেও ভালো ফলন, কর্মহীনের মুখে হাসি

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফের সুপারি এখানকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের অন্যতম ভূমিকা রাখছে। সুপারি ব্যবসায় যুক্ত হয়ে বেকার ও কর্মহীন মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বছর কক্সবাজার জেলার তিন হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার গাছে ১২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি টন সুপারি বিক্রি হয় দুই লাখ টাকায়। উৎপাদিত সুপারির মূল্য প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায়। কক্সবাজার জেলা কৃষি অফিসার কবির হোসেন জানান, জেলার উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় দুই হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ হয়। এর মধ্যে টেকনাফে এক হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে সুপারি ফলন হয়েছে চলতি মৌসুমে।
টেকনাফের পৌরসভা, সাবরাং ও শামলাপুর সুপারি বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি বছর স্থানীয়ভাবে উপাদিত সুপারি দেশ ছড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। সামান্য পুঁজিতেই সফলতা পাওয়া যায়। তাছাড়া এখানকার মানুষের প্রধান পেশা সাগর ও নদীতে মাছ শিকার, লবণ উপাদন ও সুপারি চাষ। অল্প পুঁজিতে সুপারির ব্যবসা করে অসংখ্য বেকার ও কর্মহীন মানুষ এখন স্বাবলম্বী।
সুপারি চাষে সফল এমন অনেকেই জানান, বড়
মূলধন ছাড়াই নিজদের বসতভিটার আশপাশে ও অনাবাদি জমিতে সুপারি বাগান করে ভালো উপার্জন করছেন তারা। তাদের দেখে আরো অনেকেই এখন সুপারি চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মাওলানা মুহিব উল্লাহ বলেন, সুপারি চাষে বাড়তি ব্যয় ছাড়াই অধিক আয়ের সুযোগ রয়েছে। আমার বসতভিটায় প্রায় ৫ হাজারের অধিক গাছ রয়েছে। এসব গাছের সুপারি বিক্রি করে প্রতি বছর আমার কয়েক লাখ টাকা আয় হয়।
তবে চলতি মৌসুমে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকরা। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম কালু বলেন, চলতি বছর সুপারির বাজার মূল্য কম। তাই বাগান মালিক বা চাষিরা ভালো মূল্য পাচ্ছেন না। তাছাড়া গত মৌসুমের সংরক্ষিত সুপারির মূল্য ভালো না থাকায় এখনো অবিক্রিত রয়ে গেছে অনেকের। চলতি বছরে ৮০টি (এক পণ) সুপারি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। যা অন্যান্য বছর বিক্রি হতো ৪০০-৫০০ টাকায়।
টেকনাফ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, টেকনাফে ১২৬০ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল বাহারছড়া ইউনিয়ন, টেকনাফ সদর ও সাবরাং এলাকাসহ পুরো উপজেলায় সুপারি চাষ ব্যাপক বেড়েছে। এর মধ্যে উপজলার সাবরাং ইউপিতে সবচেয়ে বেশি সুপারি চাষ হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্তান জন্ম দেয়ার দুদিন পর চলে গেলেন জুলি আগুনে স্বপ্ন শেষ
পরবর্তী নিবন্ধজনগণের আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন