কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর সুগন্ধা এলাকায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ২ একর ৩০ শতাংশ সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা সেই আলোচিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ বুধবার সন্ধ্যার দিকে এই অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ টানা তিনঘন্টা অভিযান চালিয়ে পুরো স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযানকালে কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা জানান, সুগন্ধা পয়েন্টের এই ২০০ কোটি টাকার সরকারি জমি দখল করে ওবায়দুল হাসান নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি শতাধিক দোকানঘর নির্মাণ করে।
চক্রটি ভুয়া খতিয়ানসহ অন্যান্য কাগজপত্র সৃজন করে জমিটি জবরদখলের চেষ্টার করছি। এর মধ্যে ভুয়া তথ্য দিয়ে উচ্চ আদালত একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। সেই রীটের বিরুদ্ধে দেয়া উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা অংশ নেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একটি স্কেভটর দিয়ে সব দোকান গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় অভিযুক্ত চক্রের কয়েকজন লোকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডা করে কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে অভিযান বন্ধ করতে দাবি করেন। তবে তাদের সেই দাবি উড়িয়েন দেয় আদালত।
অন্যদিকে ৫ মে ওই জমি দখলযজ্ঞ বন্ধে অভিযান চালিয়েছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই অভিযানে সরকারি জমি জবরদখলের প্রমাণ পেয়েছিলো জানিয়েছিলো দুদক।