কক্সবাজারে দুদিনে এলো ১৯ টন

রামু প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৬ জুলাই, ২০২২ at ৩:১৮ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এখন প্রতিদিনই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। গত দুই দিনে সাড়ে ১৯ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে কঙবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। বেশির ভাগই মাঝারি সাইজের। তবে বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম এখনো নাগালের বাইরে।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। আর ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এছাড়াও বড় সাইজের বিশেষ করে দেড় কেজি বা আরও বেশি ওজনের ইলিশের পাইকারি দাম ১৪০০-১৫০০ টাকা বলে জানা গেছে।
বাহারছড়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকাতে ইলিশের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। যে কারণে দামও একটু চড়া। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।
শহবের বইল্ল্যাপাড়ার বাসিন্দা অশোক কুমার বড়ুয়া বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখছি রোববার থেকে কঙবাজারে ইলিশ ধরা পড়ার হিড়িক পড়েছে। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি কেজিতে চারটি ধরে, এ রকম ছোট সাইজের ইলিশের দামও ৫০০ থেকে সাড়ে ৫৫০ টাকা।
কঙবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ম্যানেজার আহসানুল হক বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম দিনে সাড়ে ১৬ টন মাছ এসেছে। আশা ছিল সোমবার আরও বেশি মাছ আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সোমবার ইলিশসহ মাছ এসেছে সাড়ে ১৫ টন। এর মধ্যে ইলিশ হলো সাড়ে ৭টন। তিনি বলেন, দুই দিনে ইলিশ এসেছে সাড়ে ১৯ টন। প্রথম দিন প্রায় ইলিশের ওজন ছিলো ৬০০-৭০০ গ্রাম। কিন্তু সোমবার পাওয়া ইলিশের ওজন ৮০০ থেকে ১৫০০ গ্রাম।
কঙবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বলেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেও কঙবাজার উপকূলে ইলিশের দেখা পায়নি জেলেরা। সোমবার বড় ইলিশ ধরা পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলায় ছোট-বড় মাছ ধরা ট্রলার আছে প্রায় ছয় হাজার। এসব ট্রলার নিয়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জেলে-শ্রমিক সাগরে গেছেন। আশা করছি এবার বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে জালে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহ আমানতে দুবাই ফেরত যাত্রীর কাছ থেকে ১৬০ কার্টুন সিগারেট উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধফিশারিঘাটে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ