ফিশারিঘাটে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৬ জুলাই, ২০২২ at ৩:২০ পূর্বাহ্ণ

ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। গতকাল সোমবার সকাল থেকে প্রচুর ইলিশ এসেছে নগরীর ফিশারিঘাটসহ বিভিন্ন বাজারে। জেলেদের হাঁক-ডাকে মুখর হয়ে উঠে বৃহত্তম মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ফিশারীঘাট। সকাল থেকে নৌকাভর্তি করে ইলিশ মাছ নিয়ে নগরীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরছেন জেলেরা। ৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর ২২ তারিখ মধ্যরাতে গভীর সাগরে যাওয়া জেলেরা এখনো ফিরে আসেনি। তবে কাছে কিনারে মাছ শিকার করা জেলেরা গতকাল সকাল থেকে নৌকা ভর্তি ইলিশ নিয়ে ফিরতে শুরু করে। গতকাল একাধিক জেলে দৈনিক আজাদীকে বলেছেন, ৬৫ দিন বন্ধ থাকায় সাগরে ইলিশের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় মাছ শিকার করতে না পেরে কষ্টে থাকা জেলেদের মুখে এই ইলিশ হাসি ফুটিয়েছে। প্রচুর ইলিশ শিকার হওয়ায় ট্রলার মালিক ও আড়তদারদের মুখেও হাসি ফুটেছে বলেও জানান তারা। গতকাল সকালে ফিশারিঘাটে নৌকাভর্তি ইলিশ নিয়ে পাড়ে ভিড়ছে জেলেরা। মাছ ভর্তি ট্রলার পাড়ে ভিড়লে শুরু হয় জেলেদের হাঁক-ডাক। তারপর চলে বিকিকিনি। শুধু ইলিশের সংখ্যাই নয়, সাইজেও বেশ বড় হয়েছে। এক কেজির উপরের ইলিশ ধরা পড়েছে প্রচুর। ফিশারিঘাটে গতকাল ছোট-বড় মিলিয়ে প্রতিমণ মাছ ২৫-২৭ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বড় সাইজের ইলিশ মণ প্রতি ২৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ৩০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ইলিশ ৫ থেকে ৬শ’ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৯শ’ টাকায়। প্রায় প্রতিটি ট্রলারেই প্রতি ট্রিপে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি করছে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে বলে জানান একাধিক জেলে। তারা বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে মাছ শিকারে সুবিধা হয়। আজ কালের মধ্যে প্রচুর মাছ বাজারে আসবে বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, টানা দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকায় সাগরে এখন প্রচুর পরিমাণ ইলিশ মাছ আছে। মাছ শিকারে নিয়োজিত প্রতিটি ট্রলারেই প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে বলেও তারা জানান।
ফিশারীঘাটের একাধিক আড়তদার বলেন, ইলিশের ভর মৌসুম। মাছও আসছে। চলতি জো ঠিকঠাকভাবে মাছ শিকার করতে পারলে প্রচুর মাছ বাজারে আসবে। এখানে ধরা পড়া ইলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হবে বলেও তারা জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে দুদিনে এলো ১৯ টন
পরবর্তী নিবন্ধপ্রতি ওয়ার্ডকে চার জোনে ভাগ করে ছিটানো হবে কীটনাশক