কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় দুই পর্যটককে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। গত শনিবার সাড়ে রাত ৮টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী সৈকত–সংযোগ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক ও ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ (ডিবি) সদস্যরা।
আটককৃতরা হলো কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী এলাকার মো. বেলালের ছেলে আশরাফ উদ্দিন আরিফ, শহরের টেকপাড়া এলাকার মো. ফরিদের ছেলে ইরফান ফারদিন প্রকাশ ইরফান মাহমুদ, শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার এমএ বাদশা প্রকাশ ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার বাদশার ছেলে তাসনিমুল হাসান নাবিল, মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. সাঈদ, নাছির উদ্দিনের ছেলে মো. আবরার উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শুভ দে ও মো. আতিক হাসান নামের দুই পর্যটক কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী সৈকত–সংযোগ সড়ক দিয়ে সৈকতে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল যোগে পাঁচ ছিনতাইকারী এসে দুজনকে গতিরোধ করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীরা দুই পর্যটককে ছুরিকাঘাত করে দুটি মোবাইল সেট ও কিছু নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে অবহিত করা হলে সেদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক ও ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি আহমেদ নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকার ধামরাই সূয়াপুর এলাকার ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ফোরামের পক্ষ থেকে ৯০ জনের একটি দল গত ১৬ মার্চ কক্সবাজারে বেড়াতে আসে। তাদের মধ্যে শুভ দে ও মো. আতিক হাসান নামের দুই বন্ধু শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পর্যটন এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হয়। এসময় ছুরিকাঘাতে আহত পর্যটক আতিক হাসান কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, ঘটনার পর শনিবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি, দুটি মোটর সাইকেল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শুভ দে’র পিতা স্বাগতম চন্দ্র দে বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।