ওয়াসা ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের চৈতন্য চাই

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ উত্তর কাট্টলী, চট্টগ্রাম।

| সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

অনিয়মের রস রূপ গন্ধে পরিপূর্ণ চট্টগ্রাম ওয়াসা। এখনো অনেক এলাকা পানি সরবরাহে রেশনিং প্রথা বিদ্যমান। জাইকা লাইন চালু হলে পর্যাপ্ত পানি প্রদান, পানির সমস্যা দূরীকরণ ও প্রতিদিন সব সময় পানি প্রদানের কীর্তন গেয়েও পুরোনা নিয়মের ভোগান্তি মাথার উপর খড়গ হয়ে আছে। কর্তৃপক্ষের লজ্জা নেই, নেই দূরদর্শিতা। তাই সর্ব সাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত কথন। ওয়াসা মানি সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা। ইদানীং ক্ষেত্র বিশেষ বিভিন্ন জাযগায় লাইনের লিকেজে সর্বনাশ হচ্ছে। উত্তর কাট্টলী সহ পতেঙ্গা হালিশহরের লাইন লিকেজের দৈন্যদশায় ভোগান্তিতে আছে সর্বসাধারণ। নালা নর্দমার ময়লা পানি ঢুকে ভালো পানি নষ্ট করে দেয়। আর এই সুবাদে পেটের নানা পীড়াসহ ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয় নানা মুখি মানুষ। যা কর্তৃপক্ষের চুড়ান্ত অবহেলার সামিল। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ওয়াসা ব্যবস্থাপক পত্র-পত্রিকায় জোর গলায় সারিন্দা বাজিয়ে শুনালেন তার বেদড়ক নিয়ম নীতি। যা তার কাল্পনিক কথামালা ছাড়া কিছুই না। তাই বাস্তব কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে জনগণের কল্যাণে এগিয়ে এসে সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখুন।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ভেল্কি লাঘবে অনেকটা পরিশুদ্ধ। চসিক নিয়ন্ত্রিত শহরের ঘরে ঘরে এখন ডিজিটাল মিটার। বলা যায়, নিজের টাকা রিচার্জ করে আলোর সন্ধান খুঁজে নিই। তবে সমস্যার বড় ভুত চেপে আছে ঘাড়ে। ভ্যাট সহ সব চার্জ মূলক হলো ও প্রতিমাসে মিটার বাবাদ ৪০ টাকা কর্তন করেন, -কিন্ত তা কেন? যতটুকু জানি ও শুনি, কর্তৃপক্ষ মিটার বাবদ এককালিন সব টাকা কর্তন করে নেন, তবে কেন প্রতিমাসে জনগণের পকেট কাটছেন? বিষয়টি পরিষ্কার করবেন কি কর্তৃপক্ষ? তাই জনকল্যাণমুখী সববিষয়ে কর্তৃপক্ষের চৈতন্য হোক, তেমনতর প্রত্যাশায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুহম্মদ মনসুরউদ্দীন : লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ
পরবর্তী নিবন্ধসব আছে কিছু নেই