ওয়াসার পানির মূল্য বাড়লেও, বাড়েনি গ্রাহক সেবা

| বুধবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র তাপদাহ। তীব্র তাপদাহে দগ্ধিত হচ্ছে মানুষ, পশুপাখি ও গাছপালা। তীব্র তাপদাহে ছন্দপতন হচ্ছে নাগরিক জীবন। স্রষ্টা প্রদত্ত প্রকৃতির এই বৈরী আবহাওয়ার মাঝে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহের স্বল্পতার কারণে চট্টগ্রামে নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নগরীতে চারিদিকে পানির জন্য হাহাকারের প্রতিধ্বনি। অথচ, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে হাজার কোটি টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীর পানির চাহিদা মিটানোর জন্য মোহরা পানি শোধনাগার ( দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯ কোটি লিটার), শেখ রাসেল পানি শোধনাগার (দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯ কোটি লিটার) ও শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ( দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ কোটি লিটার) প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ওয়াসা ও পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী নগরীতে ওয়াসার ২৮ হাজার ৫৪২ জন গ্রাহকের পানির চাহিদা দৈনিক ৪৬ কোটি লিটার হলে পানির ঘাটতি থাকার কথা না। মাসে মাসে পানির ইউনিট মূল্য বৃদ্ধি ও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করেও চট্টগ্রাম ওয়াসা গ্রাহকদের পানির চাহিদা মিটাতে পারছে না। পবিত্র এই রমজান মাসেও পানির স্বল্পতার কারণে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ইবাদত বন্দেগীতে বিঘ্ন হচ্ছে।

এমতাবস্থায়, আমরা চট্টগ্রামবাসী প্রতি বছর গরমে পানির স্বল্পতার কারণে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি, সরকারের সৎ ও দায়িত্ববান প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আবদুর রহিম

কমার্স কলেজ রোড়, মতিয়ারপোল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনরেন্দ্র দেব: কবি ও সাহিত্যিক
পরবর্তী নিবন্ধবৃষ্টি নামুক