ঐতিহাসিক লালদিঘির মাঠ এবং চট্টলার প্রিয় নেতা মহিউদ্দীন চৌধুরী

এডভোকেট আক্তারুণ নেসা বেগম | শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

ঐতিহাসিক ৬ দফার আন্দোলনের ইতিহাস, ১৯৭১ ইং মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের ইতিহাস এবং ১৯৫২ ইং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের কালের সাক্ষী আমাদের চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দান। সুজলা, সুফলা শস্যশ্যামলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী, প্রধান সমুদ্র বন্দর, দক্ষিণ এশিয়ার সামুদ্রিক সিংহদ্বার আমাদের প্রিয় চট্টলার বিরাট হৃদয়ের অধিকারী এ.বি.এম. মহিউদ্দীন চৌধুরী।

 

সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীর যোগ্য পুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লিখিত ঐতিহ্যবাহী লালদিঘি ময়দান সরকারী মুসলিম হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। লালদিঘি মাঠটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। গত ৪ঠা ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য ২৮টি প্রকল্পের পাশাপাশি “লালদিঘী মাঠ আধুনিকরণের” এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

কালের সাক্ষী এই ঐতিহ্যবাহী লালদিঘি ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ লক্ষ সভা বা মিটিং হয়েছে। অনেক মিটিংই হয় মরহুম এ.বি.এম. মহিউদ্দীন চৌধুরীর অরগানাইজে এবং নেতৃত্বে। অত্যন্ত বড় মাপের নেতা, বিরাট হৃদয়ের অধিকারী এবং প্রখর জ্ঞান ও সুচিন্তিত মেধা সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন আমাদের মরহুম মহিউদ্দীন ভাই। উদার, মহৎ ও নিষ্ঠাবান ইত্যাদি গুণে গুনান্বিত নেতা মরহুম এ.বি.এম. মহিউদ্দীন ভাইকে পেয়েছিলেন চট্টলবাসী।

ঐতিহ্যবাহী লালদিঘি ময়দানের দিকে তাকালেই আমাদের চট্টলার নেতা মরহুম এ.বি.এম. মহিউদ্দীন ভাইয়ের কথা সর্বপ্রথম মনে পড়ে যায়। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় লালদিঘির মাঠটি সরকারী মুসলিম হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের মাধ্যমে উন্মুক্ত করেন একই সাথে সিটি কর্পোরেশনকে উল্লেখিত মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের এবং জেলা প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের অনুমোদন পাওয়ার অধিকারী হওয়ার কথা উল্লেখ করে সুন্দর ও গঠনমূলক দিক নির্দেশনা দেন।

আমাদের চট্টলাবাসীর ঐতিহ্যবাহী লালদিঘির ময়দানের বা লালদিঘির মাঠের জন্য সর্বোপরি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি যুগান্তকারী অতীব প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে গত ৪ঠা ডিসেম্বর লালদিঘি মাঠ আধুনিকরণের এ প্রকল্প উদ্বোধন করে চট্টগ্রামবাসীকে একটি চমকপ্রদ উপহার প্রদান করেন। চট্টলাবাসী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ জীবন কামনা করেন এবং একই সাথে কামনা করেন বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অটুট থাকুক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসহানুভূতির ছোঁয়ায় উষ্ণতার পরশ
পরবর্তী নিবন্ধকোরআন তেলাওয়াতের মর্যাদা ও বিশ্লেষণ