এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো হবে না

স্কুলে সংক্রমণের খবরের সত্যতা নেই : শিক্ষামন্ত্রী

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

মহামারি করোনা সংক্রমণ নিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে। সংক্রমণের ঘটনাগুলোতে স্কুলের সবার পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি মনিটরিং করছে। আগেও বলেছি, আবারও বলছি। পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মহামারীকালে দেড় বছর বাদে স্কুল-কলেজ খোলার দুই সপ্তাহ পর গতকাল শনিবার ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর দেশে বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি। সব দিক বিবেচনা করে তাই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা নভেম্বর মাসে ও এইচএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বরে আয়োজন করা হবে। এসব পরীক্ষার সময় পেছানো হবে না। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
স্কুলে সংক্রমণের খবরের সত্যতা নেই : বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলেও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, এসব খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি দেখছি, প্রায়ই আমাকে লিখে পাঠাচ্ছে যে, এই স্কুলে এতজন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত, ওই স্কুলে এতজন আক্রান্ত। আমরা প্রতিটি জায়গায় সাথে সাথেই অনুসন্ধান করছি।
তবে আশার বিষয় হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখছে এখানে আক্রান্ত ওখানে আক্রান্ত, আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও সত্যতা কিন্তু পাইনি।
বুধবার করোনার উপসর্গ নিয়ে মানিকগঞ্জের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর আসে গণমাধ্যমে। ওই শিক্ষার্থী ১৫ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ স্কুলে এসেছিল। তখন তার শরীরে কোনো সমস্যা ছিল না। এর বাইরেও বিভিন্ন জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেখানে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে। সেগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, তারা সেগুলোর ব্যাপারে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
মানিকগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী শুধু ১৫ সেপ্টেম্বর একবার স্কুলে এসেছিল, এর প্রায় ৭ দিন পর তার করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া যায় এবং সে মৃত্যুবরণ করে। আমরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি বলেছেন, ও একদিনই স্কুলে এসেছিল। তখন তার কোনো ধরনের উপসর্গ ছিল না। যে কারণে সেখানে সকলের আর পরীক্ষা করবার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগ আসা মাত্রই বা কোনো তথ্য পাওয়া মাত্র আমরা স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জনের অফিস, সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
সংক্রমণ এড়াতে সবার সচেতন থাকার উপর জোর দেন শিক্ষামন্ত্রী, যিনি নিজে একজন চিকিৎসকও। যদিও (সংক্রমণ হার) শতকরা ৫-এর নিচে নেমে এসেছে, তারপরও কিন্তু অতিমারি চলমান সারা বিশ্বেই। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে, বাড়িতেও অসুস্থ হতে পারে, যাতায়াতের পথে অসুস্থ হতে পারে। এমনকি তাদেরকে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সংক্রমণ ঘটতে পারে, সেটি যেন না ঘটে। প্রাকপ্রাথমিকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রাকপ্রাথমিকের বাচ্চাদের এই মুহূর্তে আনতে চাচ্ছি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতিবন্ধকতা দূর করলেই লক্ষ্যপূরণ
পরবর্তী নিবন্ধউন্নয়নের প্রশংসা বিএনপির সহ্য হচ্ছে না : তথ্যমন্ত্রী