এলপিজির দাম বাড়ল কেজিতে ৫ টাকা

| শুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

দুই মাস মূল্যহ্রাসের পর আবারও বেড়েছে রান্নার কাজে ব্যবহৃত তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম। ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য প্রতি কেজি এলপিজির দাম আগের মাসের চেয়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা বা ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা নির্ধারণ করেছে সরকার। সৌদি সিপির সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গতকাল বৃহস্পতিবার মাসিক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করে, যা এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। খবর বিডিনিউজের।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, রান্নার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি ওজনের একটি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম ঠিক করা হয়েছে মূসকসহ ১ হাজার ২৪০ টাকা, যা জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ১৭৮ টাকা ছিল। অর্থাৎ, এ মাসে বাড়তি গুনতে হবে অন্তত ৬২ টাকা। নতুন মাসে এলপিজির মূল উৎপাদন প্রোপেন ও বিউটনের আন্তর্জাতিক মূল্য বা সিপি প্রতি টন ৭৭৫ ডলার ঠিক করা হয়েছে। সেই হিসাবে এই দুই গ্যাসীয় দ্রব্যের ৩৫:৬৫ মিশ্রণের মূল্যও দাঁড়ায় প্রতিটন ৭৭৫ ডলার। জানুয়ারি মাসে এ মিশ্রণের মূল্য ছিল ৭২০ দশমিক ৫০ ডলার। সেই পার্থক্য বিবেচনায় নিয়ে ঠিক করা হয়েছে নতুন মাসের মূল্যহার।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী রেটিকুলেটেড এলপিজির দাম ঠিক হয়েছে ১০০ টাকা ১০ পয়সা যা জানুয়ারি মাসে ৯৪ টাকা ৯৪ পয়সা ছিল। যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দাম ধরা হয়েছে মূসকসহ ৫৭ টাকা ৮১ পয়সা, আগের মাসে ছিল ৫৪ টাকা ৯৪ পয়সা।
টানা পাঁচ মাস মূল্যবৃদ্ধির পর গত ডিসেম্বরে এলপিজির দাম কমা শুরু করে। জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মাসের মত দাম ৪ শতাংশ কমলেও ফেব্রুয়ারিতে এসে বেড়ে গেল ৫ শতাংশ। নতুন মূল্য হার অনুযায়ী, এলপিজির সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৬৮ টাকা, ১২ কেজি সিলিন্ডার ১২৪০ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি ১২৯২ টাকা, ১৫ কেজি ১৫৫০ টাকা, ১৬ কেজি ১৬৫৩ টাকা, ১৮ কেজি ১৮৬০ টাকা, ২০ কেজি ২০৬৭ টাকা, ২২ কেজি ২২৭৩ টাকা, ২৫ কেজি ২৫৮২ টাকা, ৩০ কেজি ৩১০০ টাকা, ৩৩ কেজি ৩৪১০ টাকা, ৩৫ কেজি ৩৬১৭ টাকা ও ৪৫ কেজির বোতল ৪৬৫০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইতোমধ্যে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও মার্জিন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আবার পেট্রোবাংলা প্রস্তাব দিয়েছে গ্যাসের খুচরা মূল্য বাড়ানোর। তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে এবং এসব প্রস্তাবের ওপর পর্যালোচনা, কারিগরি কমিটির বিশ্লেষণ ও গণশুনানি শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৭ বছর পর কমল ব্যবহারকারীর সংখ্যা
পরবর্তী নিবন্ধডাল কাটতে গিয়ে সবুজ উজাড়