এমসি কলেজে গণধর্ষণ : পাঁচদিনের রিমান্ডে দুই আসামি

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১:৫১ অপরাহ্ণ

সিলেট মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে তাদের হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।-বাংলানিউজ

তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান (র.) থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতে আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান (২৮) ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এদিন দুপুরে তাকে শাহপরান (র.) পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। একই দিন সকালে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা মনতলা এলাকা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করে।

মামলার প্রধান আসামি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে ও এমসি কলেজের পঞ্চম ব্লক হোস্টেলের সাইফুর রহমান। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দু’টি লোহার পাইপ জব্দ করে।

মামলার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর (২৫) সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে। বর্তমানে সে শাহপরান রাজপাড়া এলাকায় বসবাস করতো।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে স্ত্রীকে ছাত্রলীগের ছয় জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে করে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয় জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড় কেন্দ্রীক আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার গ্রুপের অনুসারী।

এ ঘটনায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে শনিবার ভোর রাতে ছয় জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরান (র.) থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার। ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলা (নং-২২(৯)২০২০) দায়ের করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলমের জানাজা সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধশিল্পপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরীর ই্ন্তেকাল