এপ্রিলে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৩

| রবিবার , ৮ মে, ২০২২ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

এপ্রিল মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪২৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৫৪৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৬১২ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭ জন ও শিশু ৮১ জন। ১৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২০৬ জন, যা মোট নিহতের ৩৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। খবর বাংলানিউজের।

দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৭ জন, অর্থাৎ ১৬ শতাংশ। এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে জানান সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান।

তথ্য ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে সাইদুর রহমান জানান, ট্রাকসহ পণ্যবাহী দ্রুতগতির যানবাহন ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছেন। পথচারী নিহতের ঘটনাও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পথচারীরা যেমন সড়কে নিয়ম মেনে চলেন না, তেমনি যানবাহনগুলোও বেপরোয়া গতিতে চলে। ফলে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে। এই আতঙ্কজনক প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র : দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০৬ জন (৩৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৩ জন (২ দশমিক ৩৯ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৬৩ জন (১১ দশমিক ৬০ শতাংশ), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-পুলিশ জিপ যাত্রী ১৪ জন (২ দশমিক ৫৭ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক) ১০০ জন (১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-টমটম) ১৯ জন (৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১২ জন (২ দশমিক ২০) নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন : দুর্ঘটনাগুলোর ৮৪টি (১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬৭টি (৩৯ দশমিক ১১ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি (২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ) পথচারীকে চাপাধাক্কা দেওয়া, ৫২টি (১২ দশমিক ১৭ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১টি (২ দশমিক ৫৭ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতা
পরবর্তী নিবন্ধবাড়ি যাওয়ায় ছিল স্বস্তি শহরে ফিরতে ভোগান্তি