এনআইডি জালিয়াতি সাবরিনার নামে চার্জশিট গ্রহণ

| শুক্রবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

ডা. সাবরিনার নামে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দেওয়া চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর পরবর্তী বিচারের জন্য মামলার রেকর্ড চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২৪ নভেম্বর এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে এদিন ধার্য ছিল। খবর বাংলানিউজের।

সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রণপ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন।

২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছেন এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করায় পেনাল কোডের ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছেন। ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার নামে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।

তবে গত ১৯ জুলাই করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন সাবরিনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমঙ্গলে একাকী অবসরে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার
পরবর্তী নিবন্ধহাতির পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে জলদী চুনতি অভয়ারণ্যে