এতো ক্লান্তি এতো অভাব! তবুও আমরা অপচয় করা বন্ধ করি কি?

দীপান্বিতা চৌধুরী | শুক্রবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে পরিবার প্রতি খাবার অপচয় হয় গড়ে ৬৫ কেজি।আর গৃহস্থালি থেকে দেশে প্রতিবছর মোট খাদ্যের অপচয় হয় ১ কোটি ৬ লাখ টন। অথচ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসেব অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রতিমাসে ১০ হাজার শিশু মারা যায় খাদ্যের অভাবে। আর প্রতিদিন সারাবিশ্বে ৮২ হাজার মানুষ রাতে না খেয়ে ঘুমায়। হিসেব অনুযায়ী আমরা বিশ্বে উৎপাদিত খাবারের ১৩০ কোটি টন খাবার নষ্ট করি। যা মোট উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ। আমরা উন্নয়নের পথে।কিন্তুু আমরা খুব উন্নত দেশ নই এখনও।তবে ভবিষ্যতের আশা বুনি। আমাদের কি শোভা পায় এত অপচয় করা! মৌসুমভেদে খাবার বিলি টা কেন প্রায়শ হয় না!তাহলে তো খাবারও নষ্ট হয়না, নিরন্ন মানুষ গুলোও খেতে পারে আবার অপচয় ও রোধ হয়। ১০ হাজার শিশু যেখানে খাবারের অভাবে মারা যায় বা যাচ্ছে তারাও তো আমার আপনার আশপাশেই।আমরা একটু সচেতন আর মনটাকে একটু বড় করলেই ওই মারা যাওয়া শিশুর সংখ্যা একটু কমে আসে। আমাদের কৃষক ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে আমাদের মুখে আহার তুলে দেন।তাদের কষ্টের সামান্য দাম তো আমাদের দেয়া উচিত।এমনও দেখা যায় যে, অনেক কৃষক পরিবার অভাবে দুর্ভিক্ষে জীর্ণশীর্ণ। আর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে রোজ নষ্ট হচ্ছে কত খাবার। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কি বলতে চাইছি। জানি একদিনে সম্ভব নয়।তবুও আস্তে আস্তে সম্ভব।
আপনার প্রয়োজনের বাড়তি খাবারটা তুলে দিন না নিরন্নদের মুখে। ওরা ও বাঁচুক। লেখক : শিক্ষক, কবি

পূর্ববর্তী নিবন্ধসৃষ্টির চেয়ে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করা সহজ
পরবর্তী নিবন্ধব্যাংক হিসেবের নমিনি নিয়ে যত বিড়ম্বনা