গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে দুইটি মাইলফলকে নিজের নাম লিখিয়েছেন সাকিব। যার একটি হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচাইতে বেশি ডট বল করেছেন সাকিব। আর এই মাইলফলকে যেত সাকিব পেছনে ফেলেছেন শহীদ আফ্রিদিকে। পাকিস্তানী অল রাউন্ডরাকে পেছনে ফেলতে সাকিবের দরকার ছিল একটি ডট বল। বল হতে নিয়ে প্রথম চার বলেই রেকর্ড গড়ে ফেললেন সাকিব। এটি একটি বিশ্ব রেকর্ড। গতকাল প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। যেখানে ছিল ১১টি ডট বল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনিই এখন সর্বোচ্চ ডট বল করা বোলার। গতকালের ম্যাচে মাঠে নামার আগে ৯৩ ইনিংসে ২০৮৫ ডেলিভারি থেকে ৮৩০টি ডট বল করার রেকর্ড ছিল সাকিবের। ঠিক ৮৩০টি ডট বল ছিল পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদিরও। তিনি ২১৬৮ ডেলিভারির মধ্যে করেছিলেন ৮৩০টি ডট। গতকাল ইনিংসের নবম ওভারে বল করতে এসে প্রথম তিন বলে দেন একটি করে রান। চতুর্থ বলটিই হয় ডট। সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায় বিশ্ব রেকর্ড। আফ্রিদিকে টপকে সাকিব হয়ে যান সর্বোচ্চ ডট বল করা বোলার। গতকালের ম্যাচের পর সাকিবের ডট বলের সংখ্যা দাড়াল ৮৪১টি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৭৯১ টি ডট বল করা টিম সাউদি। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ৭১৩টি ডট বল করা লাসিথ মালিঙ্গা। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ৬২৭টি ডট বল করা মোহাম্মদ নবী। এদিকে গতকাল একই ম্যাচে আরও একটি মাইলফলকে পা রেখেছেন সাকিব। বিশ্বের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার, তৃতীয় স্পিনার ও নবম বোলার হিসেবে সাদা বলের ক্রিকেট তথা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪০০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। বর্তমানে ৩১৩ ম্যাচে তার রয়েছে ৪০১টি উইকেট। আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮২। আর বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগেই ছিল ১১৭ উইকেট। গতকাল মোহাম্মদ নবীকে ফিরিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট পূরণ করেন তিনি। পরে নাজিবউল্লাহ জাদরানের উইকেটও নিয়েছেন তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে সবচাইতে বেশি ৩৬২ ম্যাচে ৫৪১ উইকেট নিয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়াসিম আকরাম ৩৫৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৫০২ উইকেট। তৃতীয় স্থানে আছেন ৪৯৭ ম্যাচে ৪৯৩ উইকেট নিয়ে শহীদ আফ্রিদি। লাসিথ মালিঙ্গা ৩১০ ম্যাচে ৪৪৫ উইকেট, ওয়াকার ইউনিস ২৬২ ম্যাচে ৪১৬ উইকেট, শন পোলক ৩১৫ ম্যাচে ৪০৮ উইকেট, ব্রেট লি ২৪৬ ম্যাচে ৪০৮ উইকেট এবং চামিন্দা ভাস ৩২৮ ম্যাচে ৪০৮ উইকেট।
