এক কাতারে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ইফতার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

করোনার ধাক্কা সামলে মসজিদে মসজিদে আবারও শুরু হয়েছে ইফতারের আয়োজন। গত দুই বছর রমজানে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে মসজিদে মসজিদে ইফতারি আয়োজনে বিধিনিষেধ ছিল। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা আর নেই। তাই মসজিদগুলোতে ইফতারের আগে দেখা যায় ভিন্ন আমেজ। গতকাল নগরীর ওয়াসা মোড়ের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বসে আছেন। মসজিদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা রোজাদার মুসল্লিদের মাঝে ইফতারি পরিবেশন করছেন।
জানা গেছে, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতি বছর রমজানে ইফতারির আয়োজন করে আসছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ২০১১ সালের চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার আয়োজনের আওতা বাড়ে। এরপর থেকে প্রতি রমজানে অন্তত দেড় হাজার মুসল্লি মসজিদে ইফতার করে আসছেন। করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বন্ধ ছিল এই আয়োজন।
মসজিদে কর্মরত একজন স্বেচ্ছাসেবক জানান, প্রতিদিন ইফতারিতে ছোলা, মুড়ি, খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, সমুছা, সেমাই ও শরবত দেয়া হচ্ছে। মূলত বিকাল থেকে ইফতারি তৈরি ও পরিবেশনের ব্যস্ততা শুরু হয়। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ইফতার করতে আসা ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিজের টাকায় এত ভালো ইফতারি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই এখানে ইফতার করতে এসেছি। এই এক জায়গায় ধনী-গরিব কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই একসাথে বসে ইফতার করতে অন্যরকম ভালো লাগে। একটি বেসকারি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড ইউসুফ মিয়া বলেন, গত দুই বছর অনেকটা নীরবে ইফতার করেছিলাম। কারণটা সবার জানা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল। তবে এ বছর রমজান মাসে আল্লাহর রহমতে সেই বাধা দূর হয়েছে। তাই এখানে ইফতার করতে এসেছি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, রোজার প্রথম দিন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে প্রায় হাজারখানেক মুসল্লি ইফতার করেছিল। তবে আজ (গতকাল) সেই সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। গত দুই বছর বাদ দিলে প্রতি বছরই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় ইফতার আয়োজন করে আসছি। এ বছর ইফতার তৈরির জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন বাবুর্চি ও ৪ জন সহকারী নিয়োগ দিয়েছি। তবে ইফতার সামগ্রী কেনার জন্য আমাদের বাজেট নেই। ইফতার সামগ্রী মূলত চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ ও স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তায় কিনতে হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমার্কেট ও ব্যাংক ঘিরে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা
পরবর্তী নিবন্ধপানিতে ডুবে কেন এত শিশুমৃত্যু