একাত্তরের চৌধুরী মাহাবুব

রশীদ এনাম | সোমবার , ২৫ মার্চ, ২০২৪ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

২০১৫ সালের কথা দৈনিক আজাদীর আজমিশালী পাতায় শহিদ ছবুরকে নিয়ে লেখা “যুদ্ধ শেষে যে ছেলেটি বাড়ি ফেরেনি” নামে একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল, লেখাটি একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহাবুব চাচা পড়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। মুঠোফোনে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে গাইতে লাগলেন “হয়তবা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না বড় বড় লোকেদের ভীড়েতবু হে বিজয়ী বীর মুক্তিসেনা তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না…”

মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব চাচার কণ্ঠে গানটি শুনে চোখ ভিজে গেল। মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহাবুব চাচা বললেন, রশীদ আমি শহিদ ছবুরের বন্ধু ও সহযোদ্ধা। মাহাবুব চাচার সাথে প্রথম পরিচয়। পরে জানলাম আমার ইশকুলবেলার বন্ধু পাভেলের বাবা, সেসূত্রে তাঁকে আমি চাচা বলে ডাকি।

দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার একাত্তরের চৌধুরী মাহবুব চাচা শোনালেন যুদ্ধদিনের গল্প

মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী সকলে কাছে চৌধুরী মাহাবুব নামে পরিচিত। তিনি ১৯৫৪ সালে ৬ জুন পটিয়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড উত্তর গোবিন্দারখীল গ্রামের হাদু চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত আবদুল আলিম চৌধুরী। মাতা রাবেয়া খাতুন চৌধুরানী। বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে চৌধুরী মাহাবুব সবার বড়ো।

পড়ালেখার হাতেখড়ি উত্তর গোবিন্দারখীল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ ভূর্ষি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি এবং ১৯৭৩ সালে পটিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে নিরাপত্তা পরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি ৬৯ দশক থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতিতে আসার পেছনে যাদের অনুপ্রেরণা সবসময় পেয়েছেন এবং যাদেরকে তিনি সবসময় অনুসরণ করতেন তাঁরা হলেন প্রয়াত এস এম ইফসুফ, বর্তমান পটিয়ার সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, সৈয়দ আহম্মদ, আহমদ নূর, জেষ্ঠ্য নেতা তৎকালীন প্রতিরক্ষা পরবর্তীতে শিল্পমন্ত্রী অধ্যাপক নূরুল ইসলাম চৌধুরী, সুলতান আহম্মেদ কুসুমপুরী, চাচা খালেক, মিয়া আবু মোহাম্মদ ফারুকী, আহম্মদ নূর সওদাগর (পটিয়া আদালত রোডস্থ যার দোকানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসেছিলেন) চৌধুরী সিরাজুল ইসলামসহ আরো অনেকে। চৌধুরী মাহাবুব ১৯৬৯ পটিয়া দক্ষিণ ভূর্ষি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ১৯৭৮ সালে পটিয়া থানা ছাত্র লীগের সভাপতি, ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সময়ে ছাত্র লীগের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। পটিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য পরে সিনিয়র সহ সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন সামাজিকসাংস্কৃতিক সমবায় সংগঠনের সাথে জড়িত। মাহাবুব চাচা একসময় আইয়ুব বিরোধী গণআন্দোলনে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর “জেলের তালা ভাঙবো শেখ মুজিবকে আনবো, আইয়ুব মোনায়েম ভাই ভাই এক রশিতে ফাঁসি চাই” ইত্যাদি শ্লোগান দিতেন।

১৯৭১ সালে যুদ্ধ দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের পর বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আমির ভান্ডার দরবার শরীফেও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতিমূলক গোপন বৈঠক হত। ওখানে আ..ম শামসুজ্জামানসহ অনেকে থাকত। সে সময় তিনি ছাত্রলীগের কর্মী। দিশারী ও কান্ডারী নামে দুটি গ্রুপ ছিল। কান্ডারীর নেতৃত্ব দিত শহীদ গাজী আবদুস ছবুর। দেখতে দেখতে এল ২৫ মার্চের কালো রাত। অধ্যাপক নুরুল ইসলামের কাছে শুনতে পান বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তানিরা পাগলা কুকুরের মতো মরণ কামড় শুরু করে দিয়েছে। চারদিকে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। অত্যাচার নির্যাতন থেকে নারী শিশু আবালবৃদ্ধা বণিতা কেউ বাদ যাচ্ছে না। চারদিকে হত্যাযজ্ঞ। লাশের মিছিল। পচা লাশের গন্ধে অনেক সময় নাড়িভূঁড়ি বেরিয়ে আসত। সে সময় পটিয়া থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চৌধুরী সিরাজুল ইসলাম খালেদকে আহবায়ক করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। ২৬ মার্চ পটিয়া কলেজ এলাকায় ইপিআর সদস্যরা অবস্থান নেয়। তাঁদের জন্য রান্না ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয় আবদুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তালতলা চৌকির ইসমাইল সওদাগর যিনি সুচক্রদন্ডী ইউনিয়নের এক সময়কার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি এসব তদারকি করতেন। ইপিআর সদস্যদের জন্য খাবার সংগ্রহ ও সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করতেন চৌধুরী মাহবুব। মূলত সে সময় ইপিআর সৈনিকের কাছ থেকে শহীদ ছবুর সহ অনেকে রাইফেল চালানো শেখেন। এদিকে ২৭ মার্চ থেকে স্থানীয় তরুণ ছাত্র যুবকদের সহায়তায় ইপিআর সদস্যরা কালুরঘাটে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। সে সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে পটিয়া থেকে একটি গ্রুপ ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার উদ্দেশ্য ’৭১ সালের ৪ এপ্রিল পটিয়া এগ্রিকালচার স্টেট হতে রওনা দিয়ে নাজিরহাট কলেজ হয়ে রামগড়ে পৌঁছায়। রামগড়ে সেসময় আগে থেকে অবস্থান করছিলেন, এসএম ইউসুফ, মোখতার আহমদ, সুলতানুল কবির চৌধুরীসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। ৮ এপ্রিল ওখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায় ১০০ জন ছাত্রের একটি দল ভারতের বগাপা বিএসএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্দেশ্য রওনা হই। চৌধুরী মাহাবুবের কাছে জানতে পারলাম এই গ্রুপটি সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়।

শহীদ গাজী আবদুস ছবুরসহ ৯ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৭ এপ্রিল রামগড় হয়ে অধ্যাপক এবিএম সামশুল ইসলামের (সর্বপ্রথম গ্রুপ কমান্ডার) নেতৃত্বে দেশে ফিরে আসি। আসার পথে মুক্তিযোদ্ধাদের চোখে পড়ে খালের পানিতে ভাসছে বেশ কিছু বিকৃত পচা গলিত লাশ। বাতাসে লাশের গন্ধ মিশে একাকার। সেই হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান শহীদ ছবুর, আবুল কালাম, কবির, কবিয়াল এস এম নুরুল আলম, চৌধুরী মাহবুব, আসলাম, রফিকসহ অনেকে। সবাই প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিল। তখনো রামগড়ের পতন হয়নি। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে সবাই পটিয়ায় অবস্থান করছিলাম। এর মধ্যে সরকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানোর জন্য এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়। যুদ্ধকালীন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প উদ্যেক্তা শিল্পপতি আলহাজ্ব সাইফুল আলম মাসুদ সাহেবের (এস আলম গ্রুপ) বাড়িতে অবস্থান করি। ঠিক সেসময় দেখা হয় তৎকালীন বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আনোয়ারের সাথে। আনোয়ার সাহেব পরিচয় করিয়ে দেন বাহুলীর বাসিন্দা বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সামশুল আলমের সঙ্গে। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আনোয়ার আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে গ্রেনেড হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বলেন। মাসুদ সাহেবের মা বেগম গুল চেমন আরাকে মাহবুব চাচা মা বলে ডাকতেন। তিনি চৌধুরী মাহবুব এবং আনোয়ারকে ভাত খেতে দেন। খাওয়ার পর আনোয়ার গামছা দিয়ে দু’জনের কোমরে গ্রেনেড বেঁধে দেন। দ’ুজনে মিলে রাহাত আলী ইশকুলের সামনের মাঠে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। গ্রেনেড বিস্ফোরণের কথা শহীদ আবদুস ছবুর আগের দিন তাঁর চাচা গাজী আমিন শরিফ সাহেবের বাসায় বসে চাচাত ভাইবোনদের বলেন, পটিয়ায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ করা হবে। এটিই ছিল পটিয়া সদরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম অপারেশন।

পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। কিছুদিন পর সুবেদার মেজর টি এম আলী গ্রুপের হাবিলদার ফজলুর নেতৃত্বে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে খানমোহনা রেলস্টেশনে রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। সে আক্রমণে ছিল, শহিদ ছবুর, মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দিন আহমদ, মরহুম আবুল কালাম, মরহুম কবির আহমেদ, নাসির, আহমেদ ছপাসহ অনেকে। গাইড হিসেবে ছিলেন সোবহান। এই অপারেশনে তিনজন রাজাকার মারা যায়। রাজাকার ও পাকিস্তানি আলবদর বাহিনীর অত্যাচার ভুলার মতো নয়। ’৭১ সালের জুনজুলাই মাসে (হাদু চৌধুরী বাড়ি) উত্তর পাশে অবস্থিত মধু মহাজনের বাড়ি ও শ্রীনিবাস চক্রবর্তীর বাড়িতে রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা আগুন দেয় এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। লোকজন প্রাণ বাঁচানোর জন্য এদিকসেদিক ছুটোছুটি করে। সে এক বিভীষিকাময় দৃশ্য। যাওয়ার সময় রাজাকাররা মধু মহাজনকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁকে আর পাওয়া যায়নি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাড়াপ্রতিবেশীদের কাছে সহযোগিতা পাওয়ার কথা না বললে নয়। সে সময় আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অনেকে ভালোবাসার হাত বাড়িয়েছেন। অনেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। গোবিন্দারখীল মকবুল আহমেদের বাড়ি, দক্ষিণ ভূর্ষি অপূর্ব চৌধুরীর বাড়ি, কেলিশহর ছায়াবিশ্বের বাড়ি, হাইদগাঁও বৈদ্য বাড়ি ও হাজির মাঠে (মোস্তাক বিল্লা) পূর্ব দরগার পাশে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নিত। এলাকার অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কষ্ট করে রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন। শহিদ ছবুরের একটি স্মৃতি ছিল এই হাজির মাঠে, গাজী ছবুরসহ মুক্তিযোদ্ধারা হাইদগাঁও বড় মিয়ার দরগাহ(পূর্ব দরগাহ নামে পরিচিত) হাজির মাঠে অবস্থান করেন। সেখানে তখন মশার যন্ত্রণায় নাকি বসা যেত না, পাহাড়ি মশা ছিল বড় বড় দেখতে খুব ভয় লাগত। মশার জন্য ঘুমানো যেত না। শহিদ ছবুর মজা করে বলতেন, বন্ধুরা মশার ইনজেকশানকে ভয় পেয়ো না। মশাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই দেখ, আমি একসাথে ১০ টা মশা খতম করে দিয়েছি। তাঁর কথা শুনে সবাই হাসতে লাগলো”। শহিদ ছবুর অসম্ভব সাহসী ছিলেন। ১৯৭১ সালে ২ অক্টোবর কেলিশহরের ভট্টাচার্য হাটে সহযোদ্ধার হাতে সেমসাইডে শাহাদাৎ বরণ করেন। যুদ্ধশেষে সবাই বাড়ি ফিরলেও শহিদ ছবুর বাড়ি ফিরেনি।

১৯৭১ সালে ১৩ ডিসেম্বর আবু সৈয়দ গ্রুপ, মহসিন খান গ্রুপ ও ইসলামাবাদী গ্রুুপসহ সবার সম্মিলিত প্রয়াসে পটিয়া পাকবাহিনী মুক্ত হয়। হাইদগাঁওয়ের আবু সৈয়দ (পটিয়া কলেজের একসময়কার পদর্শক ও আইনজীবী)দলে। একাত্তরে ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী সৈন্য বিতাড়িত হওয়ার পরে পটিয়ায় সাধারণ মানুষ আনন্দ মিছিল করে। ডিসেম্বের শেষের দিকে সবাই মিলে মহসিন গ্রুপ ও আবু সৈয়দ গ্রুপ পটিয়া জমিরিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলাম। ওই সময় ইন্ডিয়ার মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন পি.কে. মল্লিক ট্রামকারে করে পটিয়া আসলে আমাদের মুক্তিবাহিনীর সকল অস্ত্র জমা নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে রওনা দেন।

চৌধুরী মাহাবুব চাচা বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পেরিয়েছে সাংবিধানিক স্বীকৃতি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগ বর্তমান রাষ্ট্রের ক্ষমতায়, বঙ্গবন্ধুর তনয়া মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই চাওয়া, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যাগুলো সমাধানে তিনি বেশ আন্তরিক, আস্থাশীল। কিন্তু কিছু কুচক্রিমহল মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজ করতেছে। এদেরকে নিবিড় তদারকির মাধ্যেমে খুঁজে বের করা জরুরি। আগামী প্রজন্মদের উদ্দেশ্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে মা মাটি ও মাতৃভূমিকে ভালোবাসতে হবে সবার আগে। এবং দেশকে সমৃদ্ধশালী ও বিশ্বের দরবারে মানমর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

লেখক ও গবেষক, সদস্য, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী

পূর্ববর্তী নিবন্ধবসন্তের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধআইআইইউসিতে স্ট্যান্ডারাইজড ইংলিশ টেস্ট সেমিনার