একদিনে কক্সবাজারের বাইরে গেল ৭০ মেট্রিক টন

ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার বঙ্গোপসাগর উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালী ইলিশ। গত দুই দিনে গভীর সাগর থেকে ঘাটে ফিরছে শত শত ইলিশ বোঝাই ট্রলার। এতে শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারীঘাটসহ অন্যান্য ঘাটগুলো জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের আনাগোনায় এখন বেশ সরগরম।

ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে সাগরে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত মাসের শেষদিকে ফের সাগরে মাছ ধরা শুরু হয়। তবে এতদিন পর ইলিশ ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ আশানুরূপভাবে ধরা পড়ছে বলে জানান জেলেরা।

গতকাল সোমবার সকালে ফিশারীঘাটসহ শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শনে ২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দেখা পাওয়া যায়। তবে ধরা পড়া ইলিশের গড় ওজন ৭৫০ গ্রামের কম নয় বলে জানান ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ী কাইছার হামিদ। তিনি জানান, প্রতি বোটে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়েছে। যার মধ্যে ৫০টির মতো ইলিশের ওজন ১২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজির মধ্যে। আর কিছু ছোট ইলিশও ধরা পড়েছে। ফিশারীঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, সাগর থেকে ধরে আনা ছোট ইলিশগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। আর বড় ইলিশগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২টি ট্রাকে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ কক্সবাজার থেকে বাইরে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরো জানান, এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশগুলো কেজি প্রতি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর ছোট ইলিশগুলো বিক্রি হয়েছে আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

জেলে ও ট্রলার মালিকরা জানান, ইলিশ ছাড়াও কোরাল, চাঁন্দা, ঘুইজ্যা, লইট্যাসহ আরো বহু প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছে সাগরে। জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ বলেন, এ বছর ঘন ঘন বৈরি আবহাওয়া ও অনাবৃষ্টির কারণে সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ আশানুরূপ হয়নি। অধিকাংশ ট্রলার মালিক জ্বালানী খরচও তুলতে পারেননি। ফলে ধীরে ধীরে ট্রলারগুলো সাগরে মাছ ধরতে যায়। আর গত কয়েকদিনের ইলিশ আহরণ ফের আশা জাগিয়েছে জেলেদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় টেক্সির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত