ঋষিকুম্ভ মেলাকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে সাধু-সন্ন্যাসীদের মিলন মেলা

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১০:০২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ঋষিধামে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলার দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ৮ দিন। আর ২ দিন পর শেষ হবে বাংলাদেশের একমাত্র এ ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা। আবার ৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত এ মেলা।

শেষ মুহুর্তের এ মেলাকে ঘিরে বাঁশখালীর কালীপুরের ঋষিধাম প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে।

দূরদূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীরা সাধু-সন্ন্যাসীদের ধর্মকথায় মগ্ন হয়ে অহোরাত্রি যাপন করছে।

এদিকে, আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মঙ্গল আরতি ও জয়গানেমঙ্গল আহ্বান করে দিনের কর্মসূচি শুরু হয় ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ ও অহোরাত্রব্যাপী নামসংকীর্তনে।

এরপর হয় বহুল প্রতীক্ষিত “অনুকুট উৎসব”। এ উৎসব উদ্বোধন করেন বাঁশখালীর ঋষিধাম ও তুলসীধামের মোহন্ত মহারাজ স্বামী সুদর্শানন্দ পুরী মহারাজ সহ দেশ-বিদেশ থেকে আগত সাধু-সন্ন্যাসীরা।

চলমান ঋষিকুম্ভ মেলা, পুণ্যার্থীদের আগমন ও অবস্থানের ব্যাপারে কুম্ভ মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরুণ দাশ, উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী তাপস কুমার নন্দী বলেন, আজকে কমপক্ষে ৪ লাখ পুণ্যার্থী উপস্থিত আছেন। মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ করতে সাধু-সন্ন্যাসীদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লেত তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের নির্বাণপীঠাদীশ্বর আচার্য্য মহামন্ডলেশ্বর রাজগুরু শ্রীমৎ স্বামী বিশোকানন্দ ভারতীজী মহারাজ, ভারতের আদ্যাপীঠ এর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপরিব্রাজক ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই,সীতাকুন্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ,কৈবল্যধাম এর মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ কালীপদ ভট্টাচার্য্য,ভারতের বৃন্দাবন সীতারাম আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ নীলমণি মজারাজজী, কোলকাতা চিন্ময় মিশনের শ্রীমৎ দিবাকর চৈতন্যজী মহারাজ, ভারতের বারাসাত শংকর বেদান্ত মঠ ও মিশনের শ্রীমৎ সঞ্জয় গোঁসাইজি মহারাজ, ভারতের গুজরাট রাজস্থান এর মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী অজয়ানন্দ পুরী মহারাজ, ভারতের হরিদ্বার এর যোগগুরু শ্রীমৎ রামজী মহারাজ,পটিয়া হাবিলাসদ্বীপ জ্যোতিহরিহর গীতা যোগাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী সজলানন্দ গিরি মহারাজ, সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটির শ্রীমৎ স্বামী লক্ষ্মীনারায়ণ কৃপানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী রামানন্দ পুরী মহারাজ সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মঠ-মন্দির থেকে আগত প্রায় কয়েক হাজার সাধু, সন্ত, মোহন্ত, সন্ন্যাসী মহারাজবৃন্দ।

উল্লেখ্য, প্রতি ৩ বছর পর পর বাঁশখালীর ঋষিধামে একমাত্র ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে এ স্থানটি সারাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থ স্থান হিসেবে পরিচিত। মূলত র্পূণকুম্ভের অনুসরণে যুগাবতার শিবকল্পতরু শ্রী শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ প্রতিষ্ঠিত এই ঋষিকুম্ভ মেলা শুরু হয় ১৯৫৭ সালে।

এই ঋষিকুম্ভ মেলাকে ঘিরে বাংলাদেশ-ভারত তথা উপ-মহাদেশের কয়েক লক্ষাধিক সাধু-সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থী উপস্থিত হয়ে এখানে ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করবে।

বহুল প্রতীক্ষিত “অনুকুট উৎসব” এর কার্যক্রম শুরু করছেন স্বামী সুদর্শানন্দ পুরী মহারাজ সহ দেশ বিদেশ থেকে আগত সাধু সন্ন্যাসীরা উদ্বোধন করেন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগরু চুরির আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান, হাসপাতালে মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা