উত্তাল চুয়েট, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রাউজান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:০০ অপরাহ্ণ

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরী সভার সিদ্ধন্তানুসারে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটার মধ্যে সকল ছাত্রকে হল ত্যাগ ও আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই ঘোষনাটি এমন সময় এলো,যখন শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের চাপ প্রয়োগ করতে টানা চতুর্থ দিন কাপ্তাই সড়ক অবরোধ, আটকে রাখা বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, একাডেমীক ভবনে ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা, সামনে আগুন দিয়ে ক্যাম্পাস ও চুয়েট এলাকায় ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল।

গতকাল ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার সিদ্ধান্তজানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কথা জানানো হয়। ওই জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা ও হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা ক্যাম্পাসের ভিতর আটকে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের আরো একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন।

জানা যায়, এ সময় কয়েকজন শিক্ষক তাদের নিভৃত করতে গেলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের প্রতি খারাপ আচরণ করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন ডেকে হলের বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

একই সঙ্গে দশ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত চুয়েট ক্যাম্পাস ছাড়বে না এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এদিকে চুয়েটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে প্রস্তুতি নিয়েছে রাউজান থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন (২১) গত সোমবার বিকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হলে শাহ আমানত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়। ওই ঘটনা তারা মারা যায়।

ওই দিন বিকাল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ ও দশ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ দিনের মত গতকালও আন্দোলনে ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅবৈধভাবে নির্মিত শতাধিক স্থাপনা ও দোকান উচ্ছেদ
পরবর্তী নিবন্ধহিটস্ট্রোকে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু