উত্তর জেলা আ. লীগ নেতা আফতাবসহ দুইজন কারাগারে

কাস্টমস কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার ৪০৫ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবসায়ী আফতাব খান এবং রিসায়াত খান নামের তাঁর এক সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামি উচ্চ আদালত কর্তৃক ৮ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তারা গত ২৬ অক্টোবর আমাদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। সেদিন আদালত নথি তলব করে বুধবারের জন্য দিন ধার্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দুই আসামি বুধবার হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা না-মঞ্জুর করেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষের পাশাপাশি আফতাব খান জেলা পরিষদেরও একজন সদস্য বলে পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান।
চলতি বছরের ১৮ জুলাই কাস্টমস কর্মকর্তার সাক্ষর জালিয়াতি করে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার ৪০৫ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গাজী মো. হোসাইন আফতাব খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন মামলার ৫ নম্বর আসামি রিটন চৌধুরী কাস্টমস হাউসের দ্বিতীয় তলায় হাজির হয়ে আফতাব খান ও রিসায়েত খানের বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত পণ্য বিভিন্ন প্রকার ফ্রেব্রিক্স শুল্কায়নের লক্ষে চারটি বিল অব এন্ট্রি শুল্কায়ন শাখায় দাখিল করেন। পরবর্তীতে রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম হোসেন দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই করলে প্রাপ্পতা শীটে স্বাক্ষরকারী উপ-কমিশনার কাঞ্চন রানী দত্তের সাক্ষর জাল মর্মে সন্দেহ হয় এবং তা অনলাইনে যাচাই করেন। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে উক্ত প্রাপ্পতা শীট ও সাক্ষর জাল মর্মে নিশ্চিত হই।
এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পরস্পর যোগসাজশে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করে দুই কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার ৪০৫ টাকা রাজস্ব ফাঁকির এ চেষ্টা করেছেন। যা দন্ডবিধি আইন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও কাস্টমস এ্যাক্ট অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধআখতারুজ্জামান বাবুর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ