উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকার সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হোক

| মঙ্গলবার , ১৩ জুলাই, ২০২১ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি হতাশায় আছেন উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে। সরকারের এ মহৎ এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও নিজস্ব শিক্ষার্থীদেরকে টিকা দেওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় এনেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলে ও সত্য ইউজিসির টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। মহামারিকালে প্রতিটি শিক্ষার্থীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপ কমানো ও শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা না হওয়ায় শাহবাগে আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে চোখ হারাতে হয়েছে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীকে এখনো সেশনজটের সম্মুখীন হতে হয়। করোনা মহামারিকালে সেশনজট পূর্বের তুলনায় কল্পনাতীত বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ও শীঘ্রই ক্লাসে ফিরতে চায়। পরীক্ষা দিয়ে একাডেমিক শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি টানতে চায়। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেও টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হোক এবং টিকার সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হোক। অন্যথায় হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
ফজলে রাব্বি, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ,ঢাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্ঞানতাপস ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
পরবর্তী নিবন্ধআসুন মুখে মাস্ক রাখি, সুস্থ থাকি