দিনমণি ডুব দেয় রাতের আঁধারে / ঝিঁঝিপোকা খেলা করে বন ও বাদাড়ে। মেঘের বাড়িতে চলে চুপিসারে কথা/ ঝিরিঝিরি বাতাসের ঝরে যায় ব্যথা/ তারাদের ভিড়ে উঁকি দেয় বাঁকা চাঁদ/ রাতের আকাশ যেন শিশুদের ঝলকিত হাসির প্রপাত/ আনন্দের বন্যা ভেসে যায় চারিদিকে/ রংধনু খেলা করে জীবনের বাঁকে/এসেছে খুশির ঈদ, আনন্দের ঈদ/ দুঃখবতী নদী গায় উচ্ছ্বাসের গীত/ ঘরে ঘরে বেজে ওঠে আনন্দের বাঁশি/ নতুন জামার ঘ্রাণে বাতাসের হাসি/সুগন্ধিতে ভরে ওঠে অন্তর– প্রান্তর/ অনাবিল সুখ শান্তি বয়ে যাক যুগ– যুগান্তর / হাতভরা মেহেদির রঙে ললনারা সাজে/আয়োজনে ব্যস্ত সবে রমরমা কাজে/ সেমাই পোলাও কোর্মা আরো কতকিছু/ সালামি বখশিসের আবদার ছাড়ে নাতো পিছু/ যাকাত ফিতরা করি ঠিকমতো আদায় সবাই / গরীবের দুখ মুছে ভেসে যাক সুখের বার্তায় / ধনী গরীব সবাই মিলেমিশে একসাথে গেঁথে নেবো মালা/ দূর হবে এ সমাজ থেকে বৈষম্যের যত কালা/ ঈদ হোক উচ্ছ্বাসের আর আনন্দের/ পৃথিবীতে রেশ রয়ে যাক অনাবিল এ ছন্দের।