ঈদ আনন্দ উদযাপনের প্রত্যাশা

মীনহার সুলতানা নিকা | মঙ্গলবার , ৯ এপ্রিল, ২০২৪ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল ফিতর। রমজানের শেষ দিনে আকাশে চাঁদ দেখা দিলে, সবাই সমস্বরে গেয়ে ওঠি ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। তার ওপর এটি যদি হয়, ঈদ উল ফিতর তবে তো আর কথাই নেই। আনন্দ আর খুশির মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। কারণ দীর্ঘ এক মাসের সংযম, ত্যাগ আর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ এবং ঈদ উল ফিতর হলো একটি অন্যতম বৃহত্তম বাৎসরিক উৎসব। তবুও জাতিবর্ণধর্ম নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি মানুষ ঈদের এই আনন্দে সামিল হয়। সবার মুখে আনন্দের হাসি। সকল দুঃখকষ্ট ভুলে অন্তত ঈদের দিনে যে যার সাধ্য মতো খুশিতে মেতে ওঠে। তবে সবচেয়ে বেশি খুশি ছড়িয়ে পড়ে প্রতিটি শিশুর মুখে। এ যেন বাঁধ ভাঙা হাসির মেলা। তারা ঈদের নতুন জামাকাপড় পড়ে সকাল থেকে শুরু করে সারাটা দিন যেমন ফুলের মতো ঘুরে বেড়ায়, দেখেই মনটা আনন্দে ভরে যায়। আর ভালো লাগে, ঈদের নামাজ শেষে সবাই যখন খুশি মনে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করে। ঈদ ধনীগরীবের মাঝে বৈষম্য দূর করে সাম্যের কথা বলে। ঈদে শুধুই দামি পোশাকে বিলাসিতা না করে জাতিধর্মবর্ণ, শ্রেণিপেশা দলমত নির্বিশেষে আর্তমানবতার পাশে দাঁড়াই। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সাম্য, মৈত্রী, সহমর্মিতা, সমপ্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই। তাই ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, হাসি এবং সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সংযম, সৌহার্দ্য ও সমপ্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিবর্তনের ঈদ আনন্দ
পরবর্তী নিবন্ধঈদের আনন্দ!