ঈদের আগে বাড়ল সেমাই-চিনির দাম

বাজার মনিটরিংয়ের দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১০ মে, ২০২১ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ঈদের জামা কাপড় কেনার পর বাড়ির কর্তাদের ছুটতে হয় সেমাই চিনির বাজারে। বরাবরের মতোই ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে বেড়ে গেছে সেমাই-চিনি এবং গুঁড়া দুধের দাম। এছাড়া দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের বাজারও গত এক সপ্তাহ ধরে চড়া। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে আগেই। সর্বশেষ সরকার এক লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১৩৯ টাকা থেকে ১৪১ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ঈদে অতিথি আপ্যায়নের এসব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়ায় ভোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ভোক্তাদের দাবি, যথেষ্ট পরিমাণ ভোগ্যপণ্য আমদানি হওয়ার পরেও দাম বাড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয়। কারণ প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখা।
গতকাল নগরীর কাজীর দেউরি এবং ২নং গেট কর্ণফুলী কমপ্লেঙের মুদি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি বাংলা লাল সেমাই সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়, বর্তমানে সেটি ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত লাচ্ছা সেমাই কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়। গত মাসের তুলনায় প্রতিটি ২০০ গ্রাম প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। অন্যদিকে কিসমিস প্রতিকেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া চিনি কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
অপরদিকে ডানো এবং মার্কস ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি যথাক্রমে ৫৮০ এবং ৬৪০ টাকায়। বিভিন্ন ব্রান্ডের ঘি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১শ থেকে ১২শ টাকায়। এছাড়া সাদা মটরের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। চীনা বাদাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা এবং বড় সাইজের প্রতিটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া ম্যাগী ১২ পিসের প্রতিটি ম্যাগী নুডুলসের বঙ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। অন্যদিকে এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। বর্তমানে ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া লিটারপ্রতি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪১ টাকায়।
কাজীর দেউরি বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে ঈদের কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়তি। আমরা পাইকারী বাজার থেকে অল্প অল্প করে বিক্রি করি। পাইকারী বাজারে দাম কমলেও আমরাও কমিয়ে দিই।
বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে বাজার চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ আমরা পেপার পত্রিকায় পড়ে আসছি, এ বছর পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। পর্যাপ্ত যদি ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়, তবে দাম বাড়ার তো কোনো কারণ দেখছি না। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ঠিকই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে সাধারণ ভোক্তাদের পকেট কাটা যাচ্ছে। আমরা তাই প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করবো, যাতে বাজার মনিটরিং করে সেমাই চিনির বাজার যাতে স্থিতিশীল রাখা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাকিচি টয়োডার গল্প
পরবর্তী নিবন্ধজন্মশতবর্ষে স্মরণ: সত্যজিৎ রায়